নিজস্ব সংবাদদাতা: শাসক দলের নেতা, তাই নিয়মের বালাই নেই। লকডাউনের মাঝেই ধুমধাম করে বিয়ে। বউভাতের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অন্তত ৩০০ জন অতিথি। হৈ-চৈ,গাদাগাদি, সমাজিক দূরত্বের কোনও ব্যবস্থাই ছিলনা বলে আভিযোগ। পুলিশ অবশ্য রেযাৎ করেনি নেতা বলে। খবর পাওয়া মাত্রই অনুষ্ঠান বাড়িতে হানা দিয়ে গ্রেপ্তার করেছে নতুন বর কে। বুধবার আদালতে পেশ করাও হয়। মঙ্গলবার এই তাজ্জব ঘটনার সাক্ষী দক্ষিন ২৪পরগনার শাসন থানার টোনা গ্রাম। পুলিশের হানার পরই পাত ফেলে হাওয়া হয়ে যায় আমন্ত্রিতরা।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য এখলাছ উদ্দিনের বউভাতের অনুষ্ঠান ছিল। তার আগের দিন গয়ড়ার বাসিন্দা গোলাম মোস্তাফার মেয়ে নাজমুন নাহারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সেদিন দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, আত্মীয়স্বজন থেকে মেয়ের বাড়ির লোকজন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। বেশির ভাগ মানুষের মুখ ঢাকা ছিল মাস্কে। তবে সামাজিক দূরত্বের নিয়মকে থোড়াই কেয়ার। যদিও এখলাছের দাবি, “কোনও ভিড় ছিল না। লোকজন এসেছেন, খেয়েছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নববধূকে আশীর্ব্বাদ করে চলে গিয়েছেন।”
এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় নাম জড়ায় ফলতি বেলিয়াঘাটা পঞ্চায়েত প্রধান নজিবুল রহমান ও পঞ্চায়েত সভাপতি মেহেদী হাসানের। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান নজিবুল রহমান জানান, “তিনশো লোকের নিমন্ত্রণ ছিল। আমি ও পঞ্চায়েত সভাপতি বিষয়টি জেনে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলাম।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাত পেড়ে শতাধিক আত্মীয় স্বজন খেলেন। বাড়ির সামনে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ল। ছাদের তৈরি হল মণ্ডপ। অথচ সেসব প্রশাসনের চোখে পড়ল না। অনুষ্ঠানের প্রায় শেষে খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ ততক্ষণে চম্পট দিয়ছে আত্মীয়স্বজনের দল।
যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বারবার জমায়েত না করার আবেদন জানাচ্ছেন, তথন তার দলেরই সদস্যরা কীভাবে এই অনুষ্ঠান করল, তা নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছেন সকলে। স্থানীয় মানু্ষের দাবি, নেতারাই দুবেলা মানুষকে ঘরবন্দী থাকার জন্য প্রচার করে যাচ্ছেন। অথচ সেই দলের পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সভাপতি ও সদস্যদের উপস্থিতিতে জন সমাগম করে এই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিন অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করে পুলিশ।