নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর : রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে ব্যাপক গরমিল কেন্দ্রের তথ্যের সঙ্গে। রাজ্য যা বলছে কেন্দ্র তার থেকে বেশি বলছে। আর এই ঘটনা কেবল এই রাজ্যের বেলাতেই। অন্য রাজ্যের সঙ্গে এই সমস্যা হচ্ছেনা। রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রীর আভিযোগ কেন্দ্র বাড়িয়ে বলছে রাজ্যের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্র এবং রাজ্যের হিসাবের গরমিল ভাবাচ্ছে রাজ্যের মানুষকে। আর এরই মধ্যে দিলীপ ঘোষ আভিযোগ করলেন, মমতা ব্যানার্জী সত্য গোপন করতেই প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে থাকছে না তৃনমূল।
সোমবার নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র মেদিনীপুরে এসে ঠিক এই ভাষাতেই তৃনমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সমালোচনা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেছেন, রাজ্য সরকার সত্যের মুখোমুখি হতে চাইছে না। তথ্য গোপন করছে। হঠাৎ করে মৃত্যুর সংখ্যা কম করে দেখানো হচ্ছে। এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। তার অভিযোগ এর আগেও ডেঙ্গুতে মৃত্যু হলে ডাক্তারবাবুরা ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গুর বদলে অজানা জ্বর লিখতেন। তিনি বলেছেন, তথ্য গোপন না করে মানুষের সামনে সত্যটা প্রকাশ করা উচিত। তবেই মানুষ এর ভয়ানক বিপদের দিকটি বুঝতে পারবে। অবলম্বন করবে সাবধানতা।
দিলীপবাবু বলেছেন, করোনাকে নিয়ে সারা দেশ এখন বিপদে। প্রধানমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় সরকার এক লক্ষ সত্তর হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এরাজ্যও এখন পর্যন্ত ১৭০০ কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছ থেকে পেয়েছে। অথচ হাসপাতালগুলিতে ডাক্তার ও নার্সদের কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় পিপি কিট থেকে শুরু করে সরঞ্জাম নেই। তার অভিযোগ কোনও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই অথচ মুখ্যমন্ত্রী শুধু টাকার কথা বলছেন। প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকেও থাকবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
এদিকে সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি অভিযোগ করেছেন যে রাজ্য সরকারগুলিকে সমানভাবে নজর দিচ্ছে না কেন্দ্র সরকার। তারও জবাব দিলীপবাবু বলেছেন, দেশের সমস্ত মানুষের জন্যই প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিনা পয়সায় রেশন দিচ্ছেন। অথচ রাজ্য সরকারগুলিই তা বিলিবন্টন ঠিকভাবে করছে না বলেও পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন তিনি। জামাত যোগ নিয়েও দিলীপবাবু বলেছেন, আমার কাছে খবর আছে, এরাজ্যে ১১০ জন বিদেশী সহযোগে প্রায় ২৮০ জন দিল্লীর নিজামুদ্দিন থেকে ফিরেছেন। মারাত্মক ভাইরাস নিয়ে তারা কোথায় কোথায় ঘুরছেন তা খতিয়ে দেখারও দাবি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে দিল্লি র জামাতিয়াদের যারা এখন ও লুকিয়ে আছে তাদের খুঁজে বের করে গারদে রাখুক অথবা কোয়ারান্টাইনে রাখার জন্য ব্যাবস্থা নেওয়া হোক।