নিজস্ব সংবাদদাতা: রাত ৯টায় আলো নিভল বাংলায়, জ্বলল প্রদীপ, মোমবাতি, টর্চ। কিন্তু তার সাথে দুম দাম বাজিও ফাটল আর তাতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। বাজার যেখানে লকডাউন সেখানে বাজি এল কোত্থেকে? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আবেদনে সাড়া দিয়ে এদিন কলকাতা সহ জেলাগুলিতেও ঠিক রাত ন’টায় বেশির ভাগ জায়গাতেই আলো বন্ধ হয়েছে, জ্বলে উঠেছে আলো। কিন্তু উৎসাহের আতিশয্যতে সবাই ঠিক ৯ মিনিটের মাথাতেই ফের আলো জ্বেলেছেন এমনটা নয়। বরং বাড়ির বাইরে গিয়ে রাস্তার ওপর বা বাড়ির ছাদে মোমবাতি, প্রদীপ অথবা টর্চ জ্বেলে হয়ত একটু বেশি সময় কাটিয়েছেন। হয়ত দীর্ঘ বন্দী দশা থেকে একটু বেশি মুক্তির স্বাদ। তবে যেটা কার্যতঃ অবাক করার মত তা’ হল দুম দাম বাজিও ফাটল যা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনায় ছিলনা। আর এটা করতে গিয়ে অগল বগলের মানুষ একটু কাছাকাছিও চলে এসেছেন।
এদিন আমতা থেকে আসানসোল কিংবা খড়দা থেকে খড়গপুর বাজি যেমন ফেটেছে তেমনই তুবড়ি জ্বালানো হয়েছে, ওড়ানো হয়েছে ফানুস। এই বাজি ফাটানোর পেছনে ঠিক কি আনন্দ কাজ করেছে তা বোঝা মুশকিল। আর সব চেয়ে অবাক করা কান্ড যে বাজি এল কোত্থেকে? যেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ছাড়া সমস্ত কিছুর দোকানই বন্ধ সেখানে হঠাৎ মানুষ বাজি পেল কোথায়? তা’হলে কি কোনও তরফে ভেতরে ভেতরে বাজি সরবরাহ করা হয়েছে মানু্ষের কাছে? তা নাহলে মানুষ বাজি পেল কোথায় ? খুঁজছে পুলিশ।
সাধারন মানু্ষের পাশাপাশি এদিন রাজ্যের বিজেপি সাংসদরা সবাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে বাড়িতে প্রদীপ জ্বালান। শুধু বিজেপি সাংসদরাই নয়, বাংলার বিজেপি বিধায়করাও যে যার বাড়িতে প্রদীপ জ্বালান। নিজের সল্টলেকের বাড়িতে আলো জ্বালান বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও। সবার একটাই বার্তা, করোনা গ্রাস থেকে দ্রুত মুক্ত হোক এই পৃথিবী।
এর আগে গত ২২ মার্চ জনতা কার্ফুর দিন তালি-থালি বাজিয়ে দেশের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের কুর্নিশ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধামনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে ওই মোদির আহ্বানে সাড়া দিতে অনেকেই দল বেঁধে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু যেখানে সামাজিক দূরত্বের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে এ ভাবে দল বেঁধে বেরিয়ে পড়ায় আঁৎকে উঠেছিল দেশবাসী। এদিন অবশ্য এখনও অবধি সে রকম কোনও ছবি এসে পৌঁছায়নি।