নিজস্ব সংবাদদাতা: পুলিশ ঢিলে দিতেই কিছুটা বিশৃঙ্খল কেউ কেউ আর তা দেখে সহ্য করতে না পেরে নিজের পোশাক পরে রাস্তায় নেমে জনতাকে নিয়ন্ত্রন করতে নেমে পড়ল এক জওয়ান। কিন্তু বাড়াবাড়ি হয়ে যায় কিছুটা। এক বাজার করে ফেরা ব্যক্তিকেও কান ধরে বাইকের চারপাশে ঘোরাতে দেখা যায় তাঁকে। ঘটনার ছবি তুলতে গিয়ে নিগ্রহ করার চেষ্টা করেন ওই জওয়ান। এরপরই খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসে আটক করে ওই জওয়ানকে।
সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদা শহরের নন্দ মার্কেটের মোড়ে। জানা গেছে মনিময় দত্ত নামে ওই যুবক এসএসবি বা ‘সশস্ত্র সীমা বল’য়ের ওই জওয়ান ছুটিতে বেলদার বাড়িতে এসেছিলেন। এখানে বলার যে ভারতের সঙ্গে অত্যন্ত সুসম্পর্ক রয়েছে এমন প্রতিবেশি দেশ যেমন নেপাল ও ভুটান সীমান্ত প্রহরায় থাকেন এই জওয়ানরা। বেশ কয়েকদিন বাড়িতেই ছিলেন ওই যুবক। লকডাউন চলাকালীন প্রথম দিকে পুলিশের কড়াকড়ি থাকলে ধিরে ধিরে পুলিশ বাজার ঘাট ইত্যাদির নিয়ন্ত্রনে আনার পর কিছুটা শিথিল হয় এবং সকালের দিকে কিছু দোকান পাট খোলা থাকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের। মানুষ সকালের দিকে বাজার করছে। আবার এই শিথিলতার সু্যোগ নিয়ে কিছু যুবক বাড়াবাড়িও করছেন। আর এটাই সহ্য হয়নি মনিময় দত্তের। সাত সকালেই তিনি নিজের এসএসবির পোশাক পরেই নেমে পড়েন জনতাকে নিয়ন্ত্রন করতে।
বাজার ফেরৎ এক বাইক আরোহীকে দাঁড় করিয়ে তাকে রোদের মধ্যেই কান ধরে ঝুঁকিয়ে বাইকের চারপাশে প্রদিক্ষন করান ওই জওয়ান। এরপর ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসা এক যুবককেও কান ধরে ওঠ বোস করানো হয়। ঘটনাস্থলে আসা এক স্থানীয় সাংবাদিক কেন মাস্ক পরেননি এই নিয়ে বচসা শুরু করে দেন। ওই সাংবাদিক বলেন, তার যেহেতু করোনা সংক্রমন হয়নি তাই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু মানতে চায়নি ওই জওয়ান। কেড়ে নেওয়া হয় তার পরিচয় পত্র। পরে পুলিশের কাছে জানা যায় গতকাল রাতেও নিজের মত করেই ‘ডিউটি’ করেছেন ওই যুবক। সোমবার পুলিশ অবশ্য ওই যুবককে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। যুবক নাকি জানিয়েছেন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সৈনিক তাই প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে লকডাউন সফল করতে রাস্তায় নেমেছেন। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, এভাবে কোনও জওয়ান রাস্তায় নেমে কর্তব্য করতে পারেননা। এটা আইন বিরুদ্ধ কাজ।