নিজস্ব সংবাদদাতা: সারা দেশে সমস্ত আইআইটি বন্ধ। ছুটি দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের। হোস্টেল ছেড়ে পড়ুয়ারা বাড়ি চলে গেছেন। আর সে কারনেই হোস্টেল গুলিও বন্ধ। ব্যতিক্রম আইআইটি খড়গপুর। ১৪হাজার ছাত্রছাত্রীর মধ্যে বিভিন্ন ছাত্রাবাসে রয়ে গেছেন প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার পড়ুয়া। আর তাঁদের জন্য এখনও হোস্টেল চালু রাখতে হয়েছে আইআইটি কর্তৃপক্ষ আর তাতেই বিপন্নতা বোধ করছেন ছাত্রাবাস গুলির কর্মীরা।
কর্মীদের আভিযোগ তাঁদের অনেকেই থাকেন আইআইটি ক্যাম্পাসের বাইরে। খড়গপুরের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা এই কর্মীদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার জন্য আসতে গিয়ে পুলিশি হেনস্তার মুখে পড়তে হচ্ছে। কোনও কিছু বলার আগেই রাস্তায় পুলিশ লাঠি চালিয়ে দিচ্ছে। গত কয়েকদিনে ছোট ট্যাংরা এলাকায় অন্তত তিনজন কর্মী পুলিশের হেনস্থার শিকার হয়েছেন, দুজন মার খেয়েছেন। কিন্তু তারও চেয়ে বিপদ স্বাস্থ্য নিরপত্তা। হোস্টেল গুলো চালানোর জন্য বাইরে থেকে ঠিকাদাররা তাদের লোকজনেরা চাল ডাল শাক সবজি ইত্যাদি নিয়ে পাইকারি হারে ক্যাম্পাসে ঢুকছে, বেরুচ্ছে। তাদের সঙ্গে কর্মীদের লেনদেন করতে হচ্ছে।
আরও বিপদের কারন আইআইটির কিছু পড়ুয়া যারা দিনে রাতে ক্যাম্পাসের বাইরে বের হচ্ছেন ইচ্ছামত। তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন কারও জানা নেই। আর এই সমস্ত অ-নিরাপদ বিষয় নিয়েই কর্মীরা আশংকায়। সব চেয়ে বড় কথা দেশজুড়ে যখন সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্টান ছুটি তখন আইআইটি খড়গপুরে উল্টো নিয়ম কেন ?
ফ্যাসাদে পড়েছেন আইআইটি কর্তৃপক্ষ। দেশজুড়ে একের পর এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি ছুটি ঘোষনার পর আইআইটিও তাই করলেও পড়ুয়াদের ছাত্রাবাস খালি করার বদলে বিষয়টিকে ঐচ্ছিক করেছিল। তখন অধিকাংশ পড়ুয়া বাড়ি চলে গেলেও বেশ কিছু থেকে যান।
তখন লকডাউন ঘোষনা হয়নি ফলে আইআইটি কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের ঘরে ফিরতে জোর করেনি আর এখন লকডাউন ঘোষনার পর তাঁদের ঘরে ফেরার উপায় নেই। কিন্তু প্রশ্ন হল আইআইটি কর্তৃপক্ষর এই অবিমৃষ্যকারীতার মাশুল কর্মীরা দেবেন কেন? সরকার যাঁদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আইআইটি তাঁদের বাইরে টেনে আনবে কেন? আর আনতে হলে তাঁদের সঙ্গে সোজাসুজি আলোচনা করে তাঁদের নিরপত্তা নিশ্চিত করা হবেনা কেন ?