নিজস্ব সংবাদদাতা: বৃহস্পতি ও শুক্রবার ব্যাপক বৃষ্টিতে ভাসতে চলেছে খড়গপুর ও মেদিনীপুর সহ সংলগ্ন এলাকা। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হতে পারে জনজীবন। এমনই খবর দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ইতিমধ্যেই এই দুই এলাকাতেই মাথার ওপর ভাসছে ঘন কালো মেঘ। মাঝে মধ্যে দু’এক পশলা বৃষ্টিও হচ্ছে কিন্তু এই বৃষ্টির চরিত্রই বদলে যেতে চলেছে আগামী কয়েকঘন্টার মধ্যে এমনই আভাস মিলেছে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে ইতিমধ্যেই উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। আর তা থেকেই ২৮ জুলাই বুধবার নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছে। যার অনিবার্য ফলই হচ্ছে এই বৃষ্টির সম্ভবনা।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে, ২৭তারিখ থেকেই বৃষ্টির উপযুক্ত প্রচুর জলভরা মেঘ প্রবেশ করেছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে। ফলে ওই দিন থেকেই হালকা ও মাঝারি আর ভারী বৃষ্টি হচ্ছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, ঝাড়গ্রামের কোনও কোনও স্থানে। ২৮শে জুলাই থেকে যা ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির রূপ নেবে। অন্য দিকে ২৮শে জুলাই বিকাল থেকে পরিস্থিতি আরও গম্ভীর হবে কারন ওইদিন উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সন্নিহিত এলাকার ওপরে আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। সেই কারণে ২৮ জুলাই রাত থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত তাঁরা যেন সমুদ্রে মাছ ধরতে না যান। তবে যাঁরা ইতিমধ্যেই গিয়েছেন, তাঁদের ২৮ জুলাই বিকেলের মধ্যে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
২৯শে জুলাই বৃহস্পতিবার কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর,উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমানে। অন্যদিকে ৩০ জুলাইও শুক্রবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুরে। সঙ্গে যুক্ত হবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং যেই কারণে কমলা সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ টানা ২দিন কমলা সতর্কতার আওতায় থাকছে খড়গপুর মেদিনীপুর। পাশাপাশি হলুদ সতর্কতার আওতায় এই দুদিন বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমানের বেশকিছু এলাকা।
আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতাকে মামুলি বলে ছেড়ে দিলে চলবেনা কারন বৃষ্টিপাতের গভীরতা কতটা তা বোঝা গেছে হওয়া অফিসের অন্য একটি সতর্কতা সংযোজনে যেখানে বলা হয়েছে এই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির জেরে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন নদীর জলস্তর বাড়তে পারে। এছাড়াও নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হতে পারে। এই সতর্কতায় বাড়তি বিপদের কারন রয়েছে খড়গপুর ও মেদিনীপুর শহরে। দুই শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার বারোটা বেজে রয়েছে যার ফলে শহরের নিচু এলাকার মানুষজন জমা জলের দুর্ভোগে পড়তে চলেছেন নিশ্চিতভাবেই।