Homeউত্তরবঙ্গআলিপুরদুয়ারসরকারি জমি দখল করে বাড়ি ও মার্কেট কমপ্লেক্স! কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন...

সরকারি জমি দখল করে বাড়ি ও মার্কেট কমপ্লেক্স! কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলার বিরুদ্ধে,চা বাগান ও পূর্ত দপ্তর-কে চিঠি জলপাইগুড়ি জেলা শাসকের

নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের দাবীর পর বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছিলেন জন বার্লা। তাঁর বিরুদ্ধে বাংলা বিভাজনের চেষ্টার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল তৃনমূল। এবার সরকারি জমি দখল করে বাড়ি ও ব্যবসায়িক ভবন গড়ার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ ও সংখ্যালঘু মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা সরকারি জমি দখল করে নিজের বাড়ি ও ডুয়ার্সের চামুর্চি মোড়ে মার্কেট কমপ্লেক্স, দলীয় অফিস খুলেছেন এমনই অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে ফের সরব শাসকদল। ঘটনা গড়িয়েছে প্রশাসনিক স্তর অবধি।

কয়েকদিন আগেই জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণ কল্যাণী জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে জন বার্লার ডুয়ার্সের লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে নির্মিত বাড়ি এবং ডুয়ার্সের বানারহাটের চামুর্চি মোড়ে নির্মিয়মান মার্কেট কমপ্লেক্স, দলীয় অফিস সবটাই সরকারি জমি দখল করে করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।অভিযোগের ভিত্তিতেই জেলা শাসক ভুমি ও ভুমি রাজস্ব দপ্তরকে দিয়ে তদন্ত শুরু করেন।

জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর,কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চা বাগানে যে জমিতে বাড়ি তৈরি করেছেন সেটা লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের মালিককে রাজ্য সরকার লীজে দিয়েছিল। চামুর্চি মোড়ের মার্কেট কমপ্লেক্সের জমিও পুর্ত দপ্তরের জমি। চা বাগান কর্তৃপক্ষ এবং পুর্ত দপ্তরকে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন তারা সরকারি জমি দিলেন।
এদিকে চামুর্চি মোড়ে প্রধানমন্ত্রী ও জন বার্লার ছবি টাঙিয়ে জন বার্লার দলীয় অফিস উদ্বোধন করেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। তৃণমুলের রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে দায়ী করেছে বিজেপি নেতারা।

যদিও সাংসদ ও মন্ত্রী জন বারলার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী। বলেন, আদিবাসী সমাজের একজন মানুষ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছে‌ন। তা অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। তাঁর পাল্টা দাবি প্রতিহিংসা মেটাতে‌ই এই বিষয়টি নিয়ে এখন রাজনীতি করছেন তৃণমূল নেতারা। বলেন, এই মার্কেট কমপ্লেক্স একদিনে নির্মাণ হয়নি। এতদিন ধরে বিষয়টি কেন প্রশাসনের নজরে আসেনি তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে‌ছেন তিনি। বলেন, বিষয়টি নিরপেক্ষ‌ভাবে তদন্ত হোক। তাহলে‌ই সবকিছু জলের মত পরিস্কার হয়ে যাবে।

এদিকে চামুর্চি মোড়ের জমি কয়েক বছর ধরে জন বার্লার অধীনে এমনটাই জানান স্থানীয় তৃণমুল নেতারা।এমনকি এই জমির কর,পানীয় জল, বিদ্যুতের বিল জমা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। তাহলে কেন এখন বিতর্ক হচ্ছে।এদিকে জন বার্লা দিল্লিতে থাকলেও ফোন ধরছেন না। গোটা ঘটনায় এখন নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে পাহাড়ে।

RELATED ARTICLES

Most Popular