Homeআবহাওয়াKharagpur-Midnapur: ফের সক্রিয় মৌসুমী রেখা, মঙ্গলবার থেকে ঝেঁপে বৃষ্টি খড়গপুর-মেদিনীপুরে! বৃষ্টি আসছে...

Kharagpur-Midnapur: ফের সক্রিয় মৌসুমী রেখা, মঙ্গলবার থেকে ঝেঁপে বৃষ্টি খড়গপুর-মেদিনীপুরে! বৃষ্টি আসছে ঝাড়গ্রামেও, ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে ঘূর্ণাবর্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা: গত ৪৮ঘন্টা ধরে তীব্র গরমে অতিষ্ট খড়গপুর, মেদিনীপুর। মাঝে মধ্যে অল্পস্বল্প বৃষ্টি হচ্ছে বটে কিন্তু গরম তাতে কমছেনা। উল্টে সামান্য পরিশ্রমেই শরীর জ্যাবজ্যাব করে উঠছে ঘামে। আর ঠান্ডা গরমে বাড়িতে বাড়িতে সর্দি কাশি লেগেই রয়েছে। অতিমারির সময় চলায় আতঙ্কিত হচ্ছেন মানুষ। আবহাওয়ার এই অদ্ভুদ কারন সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আবহাওয়া দপ্তর বলছে, রাজস্থান থেকে পূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত মৌসুমি অক্ষরেখা বিস্তৃত।

যদিও আবহাওয়ার রদবদলে বর্ষাকাল হলেও  নিম্নচাপ বা ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি না হলে জোরালো বৃষ্টি হতে পারে না। সেই ঘূর্ণাবর্তেরই খবর মিলেছে সম্প্রতি। জানা যাচ্ছে, ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে একটি ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেটা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আর এই নিম্নচাপের কাঁধে ভর করেই ঝেঁপে বৃষ্টি আসছে মঙ্গলবার।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তই পরিণত হতে চলেছে নিম্নচাপে। অন্যদিকে যার ফলে রাজস্থান থেকে বঙ্গোসাগর অবধি বিস্তৃত সক্রিয় মৌসুমী রেখা এই দুইয়ে গাঙ্গেয় উপকূলে ঝেঁপে বৃষ্টি নামবে যার সুফল ভোগ করবে খড়গপুর,মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামও। পাশাপাশি মাঝারি আকারে বৃষ্টি হবে দক্ষিনবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরও জানিয়েছে, রাজ্যে আগামী মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। তবে মঙ্গল ও বুধবার জুড়ে উত্তরবঙ্গ বিশেষ করে ডুয়ার্স এলাকা জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে কোচবিহারেও।

এমনিতেই রবিবার থেকেই খড়গপুর ও মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ মেঘলা। মাঝে মধ্যেই দু’এক পশলা করে বৃষ্টি হয়েছে মাঝে মধ্যেই। রবিবার বেলার দিকে খড়গপুর এবং বিকালের দিকে মেদিনীপুর শহরে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যার পর মেঘের গুরুগম্ভীর আওয়াজ, হালকা বিদ্যুতের চমক দেখা গিয়েছে। যদিও গরমের তীব্রতা তাতে একটুও কমেনি।

জুলাইতে প্ৰয়োজনের তুলনায় রাজ্যে বৃষ্টির কম হয়েছে অনেকটাই। যে পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ার কথা, সেই পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে না। মৌসম ভবনের তথ্য অনুযায়ী, শুধু জুলাইতেই রাজ্যে ১৪ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তবে জুন মাসে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় ১ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত ২৭ শতাংশ উদ্বৃত্ত বৃষ্টি হয়েছে। এখন দেখা যাক মাসের বাড়তি দু’পক্ষ বৃষ্টির সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারে কী না!

RELATED ARTICLES

Most Popular