নিজস্ব সংবাদদাতা: শুক্রবার মধ্যরাতের পর শনিবার রাতেও মেদিনীপুর শহর জুড়ে ব্যাপক তল্লাশি চালালো পুলিশ। আর সেই তল্লাশিতে ২৫ জন আড্ডাবাজকে গ্রেপ্তার করল মেদিনীপুর কোতোয়ালি পুলিশ। মেদিনীপুর শহরে চারটি ওয়ার্ডকে পুরোপুরি এবং দুটি ওয়ার্ডকে আংশিক কন্টেনমেন্ট জোন বলে ঘোষণা করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসক। শুরুর দিনই রাস্তায় নেমে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ঘুরে ছিলেন জেলাশাসক রশ্মি কোমল ও পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সহ পদস্থ আধিকারিকরা। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কড়া হাতেই বলবৎ করা হবে কন্টেনমেন্ট আইন। শনিবার রাতে তারই ট্রায়াল রান হয়ে গেল মেদিনীপুর কলেজ কলেজিয়েট ময়দানে।
পুলিশের ঘোষণা ছিল প্রয়োজন ছাড়া রাত ৯টার পর বাড়ির বাইরে বের হবেননা শহরের বাকি অংশের মানুষও। সেই রয়েছে নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করেই রাস্তার মোড়ে, কলেজ ময়দান সহ কয়েকটি জায়গায় আড্ডা দেওয়ার অভিযোগে শনিবার ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করল কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তুলে আনা হয়েছে ডজন খানেক বাইকও। পুলিশ এদিন রাত ১০টা থেকে পরপর অভিযান চালায় মেদিনীপুর শহরের কলেজ মোড়, গান্ধী মোড়, রাজা বাজার, কোতবাজার, বটতলা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ।
তবে পুলিশের নজর কাড়া অভিযানটি চলে মেদিনীপুর কলেজ কলেজিয়েট মাঠেই। রাত ১০টা ১৫ নাগাদ মাঠের তিন দিক থেকে অভিযান চালানো হয়। মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুলের গেটের মুখোমুখি রাস্তা ঘিরে ফেলে একদল, অন্য একটি দল পুরানো জেলখানার দিকের রাস্তার দখল নেন যাতে বিদ্যাসাগর হলের রাস্তা ধরে কেউ পালাতে পারে। আরেকটি দল দখল নেন ডি.আই অফিসের রাস্তার। এরপর মাছ ধরা জালের মতই গুটিয়ে আনা হয় অভিযান। প্রায় ১৫জনকে এখান থেকেই ধরা হয়। আর সব মিলিয়ে গ্রেপ্তার হয় ২৫ জন।
উল্লেখ্য শুক্রবার রাতে মেদিনীপুরের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছিলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হলেও টিকাকরণের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার বিনিময়ে কুপন সংগ্রহ করতে হচ্ছে। আর এটা করছিল কিছু দালাল। এরপরই শুক্রবার রাতে মেদিনীপুর শহরের কেরানিতলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে পুলিশ। কাউকে গ্রেপ্তার করা না হলেও পুলিশ হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছিল ভোর ৫টার আগে এখানে কেউ দাঁড়াবে না আর দূরত্ববিধি মেনে নিয়ম মতো সকাল ৭টা থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যের কুপন সংগ্রহ করতে হবে। পুলিশের এই ধারাবাহিক নৈশ অভিযান স্বস্তি দিয়েছে শহরবাসীকে।