নিজস্ব সংবাদদাতা: মাঝে মাত্র ৩দিন! আবারও করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় রাজ্যের সমস্ত জেলাকে ছাড়িয়ে শীর্ষে পৌঁছে গেল পশ্চিম মেদিনীপুর। তুলনায় অনেকটাই পেছনে মাসের পর মাস ধরে শীর্ষে থাকা কলকাতা আর উত্তর ২৪পরগনা। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পেশ করা ৭ই জুলাইয়ের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৮২ জন। পশ্চিম মেদিনীপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০২জন। মৃত্যু হয়েছে ১জনের। তুলনায় কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫ জন। উত্তর ২৪ পরগনাতেও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৪ জন, যা কলকাতার থেকেও বেশি। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম, ৪৪ জন।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলায় বিভিন্ন জায়গায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছে। যা নিয়ে দফায় দফায় বদল আনা হয়েছে। আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি থাকবে। প্রথমে বুধবার পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি রাখার কথা বলা হয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করার কথা বলা হয়েছে। অন্য দিকে প্রথমে জেলা প্রশাসনের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, খড়গপুর ও মেদিনীপুর পুর এলাকায় সবটাই বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে। কিন্তু পরে নির্দেশিকায় বদল এনে বলা হয়, পুর এলাকায় সবটা নয়, যে সব ওয়ার্ডে সংক্রমণের মাত্রা বেশি। সেই হিসাবে মেদিনীপুর পৌরসভার ১,২,৪ এবং ১৯ নম্বর মিলিয়ে ৪টি ওয়ার্ড এবং খড়গপুর পৌরসভার ১৩,১৫,৩১,৩২ ও ৩৫ এই ৫টি ওয়ার্ডকে কন্টেনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হয়েছে।
এছাড়াও ঘাটালের নিশ্চিন্দিপুর, দলপতিপুর,কুশমান দলুইপাড়া। কুশমান শিবমন্দির থেকে কুশমান স্মৃতিসঙ্ঘ।(ঘ) কৃষ্ণনগর বেরাপাড়া, কোন্নগর মহাপাত্র পাড়া, কুশপাতা, দূরভাস পাড়া এবং গম্ভীরনগর মন্ডলপাড়াকে কন্টেনমেন্ট ঘোষণা করা হয়েছে। গড়বেতা থানা এলাকার সাতবাঁকুড়া মাষ্টারপাড়া, নারায়নগড় থানা এলাকার মহম্মদপুর এবং মকরামপুর বাজার, বেলদা থানা এলাকার শুশিন্দা,উকরান্ডা ও বাখরাবাদ সম্পুর্ন ওই জোনের আওতায় হয়েছে। পাশাপাশি কেশিয়াড়ী থানা এলাকার হাসিমপুর, খাজরা এবং এলাসাইকে কন্টেনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হয়েছে।
জেলার কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে ৭ই জুলাই ২০২১ অবধি জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯, ৬৩২জন। মৃত্যু হয়েছে ৪৭২ জনের। জেলায় এই মুহুর্তে সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ১৩৯৮জন।
উল্লেখ্য এই নিয়ে ৪দিনের মাথায় দ্বিতীয়বার রাজ্যে দৈনিক সংক্রমনে শীর্ষে এল পশ্চিম মেদিনীপুর। এর আগে ৩ জুলাই ১৪২ জন আক্রান্ত নিয়ে উত্তর ২৪পরগনার সাথে শীর্ষে এসেছিল জেলা। কিন্তু এবার পশ্চিম মেদিনীপুর একাই ১০২! জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে আগামী ১৪ই জুলাই অবধি কড়া মনিটরিংয়ের মধ্যে থাকবে জেলা। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যদি দেখা যায় অবস্থার উন্নতি হচ্ছেনা তবে কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়তে পারে।