নিউজ ডেস্ক: কলকাতা কে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেল পশ্চিম মেদিনীপুর। দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই নিয়ে পর পর কয়েকদিন মহানগরের ওপরে উঠে এল পশ্চিম মেদিনীপুরের সংক্রমন। মাত্র ২ দিন আগে দ্বিতীয় স্থানে থাকার পর শনিবার রাজ্যের জেলা গত দৈনিক সংক্রমনের নিরিখে প্রথম স্থানে উঠে আসল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা। যদিও তার সঙ্গে যুগ্ম প্রথম স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪পরগনাও। বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দৈনিক সংক্রমন ছিল ১৪১জন। শনিবার যা ১৪২জন হয়েছে। এই একই পরিমাণ আক্রান্ত রয়েছে উত্তর ২৪পরগনাতেও কিন্তু সেখানে গত ২৪ঘন্টায় ৬জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরে মৃত্যু না থাকায় তুলনায় উত্তরের চাইতে কিছুটা ভালো অবস্থানে জেলা। বাংলায় শনিবার হাজারের কাছাকাছি পৌঁছলো দৈনিক সংক্রমন।স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১,৩৯১ জন এবং এই সময়কালে প্রাণ হারিয়েছেন ২১ জন। এরপর রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে১৫,০৪,০৯৭। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দার্জিলিং। একদিনে সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৫ জন এবং মৃত ৩। কলকাতা তৃতীয় স্থানে।এখানে একদিনে সংক্রমিত সেখানকার ১২৮ জন এবং মৃত ৫ জন।
পাশাপাশি,একদিনে করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১,৮১৯ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৪, ৬৭,০৩৮ জন । গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৭,৫৪ শতাংশ।
অন্যদিকে ভারতে করোনার সংক্রমনের সংখ্যা ক্রমাগত কমছে। ২৭ শে জুন থেকে প্রতিদিন ৫০ হাজারেরও কম মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় ৪৩,০৭১ নতুন করোনার কেস এসেছিল এবং ৯৫৫ আক্রান্ত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর আগে শুক্রবার ৪৪,১১১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। একই সময়ে, গত ২৪ ঘন্টায় ৫২,২৯৯ জন লোকও করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক দেশের করোনার সংক্রমণের সর্বশেষ পরিস্থিতি-মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন- ৩ কোটি ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার ৪৩৩ ।মোট করোনামুক্ত হয়েছেন – ২ কোটি ৯৬ লক্ষ ৫৮ হাজার ৭৮। মোট চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা – ৪ লক্ষ ৮৫ হাজার ৩৫০। মোট মৃত্যু হয়েছে – ৪ লক্ষ ২ হাজার ৫ জন।
দেশে টানা ৫১ তম দিনে দৈনিক করোনা আক্রান্তের চেয়ে বেশি মানুষ সুস্থ হয়েছেন। ৩ জুলাই অবধি সারাদেশে ৩৫ কোটি ১২ লক্ষ করোনার ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। গত দিন ৬৭ লক্ষ ৮৭ টিকা দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে, এখনও পর্যন্ত ৪২ কোটি করোনার পরীক্ষা করা হয়েছে। গত দিনে প্রায় ১৮ লক্ষ করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যার পজিটিভিটি রেট ৩ শতাংশের বেশি। দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১.৩১ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৯৭ শতাংশেরও বেশি। দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ২ শতাংশেরও কম।