নিজস্ব সংবাদদাতা: কসবা ভুয়ো টিকাকাণ্ডের নায়ক, জাল IAS দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে ছবি রয়েছে এমন তৃনমূল নেতা মন্ত্রীদের দুশ্চিন্তা দুর করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা দপ্তর। গঠিত হয়েছে SIT কিন্ত সেই তদন্তের ফলাফল বেরুনোর আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, অনেকেই অনেক জায়গায় ছবি তুলে রাখে তা’দিয়ে কিছু প্রমান হয়না। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন কসবার টিকা কাণ্ড বিজেপির সাজানো ঘটনাও হতে পারে।
উল্লেখ্য শুধু ছবি নয় কসবাকাণ্ডের পর প্রতারক দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে একাধিক নেতা মন্ত্রীর ছবির পাশাপাশি একই মঞ্চে উপস্থিত থাকতেও দেখা গিয়েছে। কলকাতা কর্পোরেশনের যুগ্ম সচিব পরিচয়ে মূর্তি উমন্মোচনের নাম ফলকেও নেতা-মন্ত্রীদের সাথে তাঁর খোদিত হতেও দেখা গিয়েছে। এই ঘটনাগুলি সরকারের বিড়ম্বনা বাড়িয়েছিল বলেই মনে করা হচ্ছিল কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, “আশপাশে বহু মানুষ ঘুরে বেড়ায়। কে বা কারা আশপাশে আসছে, সবসময় তাঁদের চেনা সম্ভব নয়। ছবি দিয়ে বিচার করা যায় না। ” বলাবাহুল্য এরপর আর তৃনমূল নেতামন্ত্রীদের আর দুশ্চিন্তার কোনও কারন রইলনা। বিরোধীদের দাবি পুলিশি তদন্ত কোন দিকে যাচ্ছে তার একটা আভাস পাওয়া গেল মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে।
এই কাণ্ডে বিরোধীদের সর্বাধিক তোপের মুখে পড়েছেন মন্ত্রী তথা কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। কারন তাঁর সঙ্গেই একাধিক ছবি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হতে দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সেই কারণেই বোধহয় পরিস্কার করেই বলে দিয়েছেন, “রাস্তায় বের হলে অনেকে ডাকেন। না শুনে চলে গেলে তো আবার বলবে মেয়র কথা শুনলেন না। কথা বলার সময় কেউ ছবি তুলে রেখেছে ফিরহাদের সঙ্গে।” মুখ্যমন্ত্রীর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন,”
” যারা এই সব প্রতারণা করতে চায় তারা এই সব ছবি তুলে রাখে। ভুয়ো টিকাকান্ড একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর সঙ্গে সরকারের কেউ জড়িত নয়।”
বুধবার নবান্নের এক সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বিজেপির প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, “হিংসার ঘটনা প্রমাণ করতে ভুয়ো ছবি ভাইরাল করা হচ্ছে। কেউ কেউ সেই ছবি ইচ্ছে করে ভাইরাল করছে। এই জাল টিকা কাণ্ডের পিছনেও যে বিজেপির হাত নেই, কে বলতে পারে!” তাঁর অভিযোগ, “বাংলার থেকে ছোট রাজ্য বেশি টিকা পাচ্ছে। এ রাজ্য অনেক কম টিকা পাচ্ছে। তবু দেশের মধ্যে গণটিকাকরণে এক নম্বর এই রাজ্য। আমরা তিন কোটি টিকা চেয়েছিলাম, পাইনি।” মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, শুধু বাংলা তো নয়। একাধিক রাজ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। গুজরাটে তো বিজেপির দলীয় কার্যালয় থেকে টিকা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি নেতাদের সঙ্গেও অনেকের ছবি রয়েছে। এখন সেই ছবিগুলো কোথায় গেল?