বিশ্বজিৎ দাস: ধীরে ধীরে সংক্রমনের সংখ্যা কমলেও করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কার ক্ষত এখনও যায়নি দেশ থেকে। গত এপ্রিল মাসে গোটা দেশে আছড়ে পড়া করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। দেশবাসীকে এর ফলে ফের লকডাউনে বন্দি হতে হয়। ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে হাঁটলেও এবার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় ভুগছে দেশ।ইতিমধ্যেই নতুন প্রজাতির ডেল্টা প্লাস ভাইরাস ভয় দেখাচ্ছে গোটা দেশকে।
এরমধ্যেই দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান IIT- কানপুরের গবেষকদের দ্বারা তৈরি একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে আগামী জুলাইয়ের 15 তারিখের মধ্যে যদি গোটা দেশে আবার আনলক পর্ব সম্পূর্ণ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের মধ্যে দেশে আছড়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ।
সেক্ষেত্রে দৈনিক সংক্রমণের হার 5 লাখ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা IIT- কানপুরের বিশেষজ্ঞদের।কিন্তু, দৈনিক সংক্রমণের যে হারের কথা IIT-কানপুরের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেটি ভারতের টিকাকরণ প্রক্রিয়াকে বাদ দিয়ে হিসাব করা হয়েছে। গবেষকদের বক্তব্য, ভারতে যে হারে টিকাকরণ চলছে, তা সংক্রমণের চেন ভাঙতে খুবই কার্যকর হবে বলেই মত তাঁদের।
প্রসঙ্গত,IIT- কানপুরের যে গবেষকদের দল এই সমীক্ষাটি চালিয়েছে, তাঁদের নেতৃত্ব দিয়েছেন অধ্যাপক রাজেশ রঞ্জন ও মহেন্দ্র বর্মা। সাসেপটিবল-ইনফেকটেড-রিকোভার্ড মডেলের মাধ্যমে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। ভারত যদি আগামী 15 জুলাইয়ের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে আনলক হয়, সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি কী দাঁড়াতে পারে, সেটাই এই সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়েছে। উল্লেখ্য এখনও অবধি ভারতে দৈনিক সংক্রমন পাওয়া গেছে ৪লক্ষ ১২হাজারের কিছু বেশি এবং ভারতই করোনা সংক্রমনে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে। এরপর তৃতীয় ঢেউ প্রসঙ্গে গবেষকদের আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত হলে অবস্থা কতটা খারাপ হতে পারে সহজেই অনুমেয়।