নিজস্ব সংবাদদাতা: গত একমাসেরও বেশি সময় ধরে বিপর্যস্ত হয়ে রয়েছে গোপীবল্লভপুরের গ্রামীণ এলাকার বিদ্যুৎ পরিষেবা। এমনিতেই বেহাল ছিল যে পরিষেবা ঘূর্ণিঝড় যশ পরবর্তীকানে মানুষের যন্ত্রনা আরও প্রকট হয়েছে। কোনও গ্রামে সারাদিনে এক-দুঘন্টা নিজের অস্থিত্ব জানিয়ে চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। কোথাও আবার হঠাৎ করে হাইভোল্টেজে পুড়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ সরঞ্জাম। অবিলম্বে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য দাবি জানালো সারা বাংলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির গোপীবল্লভপুর শাখা।
মঙ্গলবার সমিতির পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবিতে WBSEDCl এর গোপীবল্লভপুর কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে ডেপুটেশন দিলেন সমিতির স্থানীয় নেতৃত্বরা। সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন ভুক্তভোগী গ্রামগুলির প্রতিনিধিত্ব মূলক গ্রামীণ এলাকার গ্রাহকরা। এই ডেপুটেশনে দ্রুত বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের দাবি জানানোর পাশাপাশি তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নিয়মিত লো-ভোল্টেজ এবং লোডসেডিং এর জন্য। বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয় করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ গ্রাহকদের মাসে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দিতে হবে এবং প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ২ টাকা মূল্য ধার্য করতে হবে।
এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সারা বাংলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির গোপীবল্লভপুর শাখার পক্ষ থেকে সুদীপ্ত জানা, স্বরুপ প্রামাণিক সহ স্থানীয় গোপীবল্লভপুরের আলমপুর, পিড়াশিমূল, টোপগেড়িয়া কমলাশোল এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। উল্লেখ্য,গোপীবল্লভপুর এলাকার বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রায় মাসখানেক ধরে খুবই ব্যহত হচ্ছে। অভিযোগ দিনের মাত্র কয়েকঘন্টা বিদ্যুৎ স্বাভাবিক থাকলে বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে এলাকা। সামান্য বৃষ্টিতেই ঘন্টায় পর ঘন্টা পরিষেবা অচল করে রাখা হয় বলে অভিযোগ। ফলস্বরূপ ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা থেকে শুরু করে হাঁসফাঁস করা গরমে নাকাল হতে হয় এলাকাবাসীকে।তাই এদিন বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির পক্ষ বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল করার দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের পক্ষ থেকে সুদীপ্ত জানা বলেন, ” এখন করোনা এবং লকডাউনের জন্য আমরা গ্রামগুলি থেকে এক দুজন করে প্রতিনিধিত্ব মূলক গ্রাহকদের আসতে বলেছিলাম। ফলে বিদ্যুৎদপ্তরের আধিকারিকরা হয়ত টের পাচ্ছেননা যে মানুষের ক্ষোভ কোন পর্যায়ে রয়েছে। যদি পরিস্থিতি অবিলম্বে স্বাভাবিক না হয় যদি বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে দোহাই দিয়ে দিনের পর দিন মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হন তবে আগামী দিনে জোরদার আন্দোলন হবে। বিদ্যুৎ বিল বাবদ আপনারা নিয়ম করে পয়সা নেবেন, দেরি হলে ফাইন করবেন কিংবা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেবেন আর পরিষেবা দেওয়ার বেলায় শুধু অজুহাত দেখবেন এটা হতে পারেনা।”