নিজস্ব সংবাদদাতা: গত দুদিনে (১২ ও ১৩ই জুুন)জেলার দৈনিক সংক্রমন দেড়শর নিচে নেমে দাঁড়ালো। জেলার প্রায় সর্বত্রই সংক্রমনের হার ক্রমশ নিম্নগামী হয়ে চলেছে। একমাত্র ব্যতিক্রম মেদিনীপুর শহর যেখানে এখনও করোনা সংক্রমন অনেকটাই বেশি। যার প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে পারিবারিক সংক্রমন। যেমন ১৩ই জুনের জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর যে হিসাব নথিভুক্ত করছে তাতে দেখা যাচ্ছে সারা জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৭ জন। এরমধ্যে মেদিনীপুর শহরেই রয়েছে ৬২ জন। এই ৬২ জনের ২৬জনই ৯টি পরিবার থেকে সংক্রমিত হয়েছেন। সবমিলিয়ে ওই দিন মেদিনীপুর শহর জেলার মোট সংক্রমনের প্রায় ৫০% দখল করে ছিল।
অন্যদিকে খড়গপুর শহরে এদিন সংক্রমন অনেকটাই নিচে নেমেছে ১৩৭ জনের মধ্যে খড়গপুর শহরে মাত্র ১১জন সংক্রমিত পাওয়া গেছে। আগের দিন অর্থাৎ ১২ই জুন জেলায় মোট সংক্রমিত হয়েছিলেন ১৪০জন যারমধ্যে মেদিনীপুর শহরের আক্রান্ত ছিলেন ৩৩জন। আর এই দিন খড়গপুর শহরে ১৪জন সংক্রমিত পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে গত ২ দিনে মেদিনীপুর শহরে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ জন আর খড়গপুর শহরে আক্রান্ত ২৫জন।
এই প্রতিবেদনে জেলার বিভিন্ন থানা এলাকার গ্রামগুলিতে ১২ এবং ১৩ই জুনের আক্রান্তের সংখ্যা তুলে ধরা হল। বন্ধনীর মধ্যে থাকা এলাকাগুলিতে ১২ই জুনের পরিসংখ্যান এবং বাইরের অংশ ১৩ই জুনের। বেলদা এবং পিংলায় ১৩ই জুন কোনও আক্রান্ত নেই অন্যদিকে দাঁতন ও নারায়নগড়ে ১২ই জুন কোনও আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাই এই চারটি থানা এলাকায় বন্ধনী নেই। এলাকার পাশে উল্লেখিত সংখ্যা ওই এলাকার আক্রান্তের সংখ্যা নির্দেশ করছে।
খড়গপুর শহরের ঠিকানা বিহীন ৩জন আক্রান্ত ছাড়াও আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে আইআইটি ক্যাম্পাস, মালঞ্চ, ঝাপেটাপুর ২, নিউস্টেলেমেন্ট ২, মহকুমা হাসপাতাল আবাসন, পুরাতনবাজার ( ছোটট্যাংরা, ইন্দা ২, শাস্ত্রীনগর নিমপুরা, বুলবুলচটি, রবীন্দ্রপল্লী, সুভাষপল্লী, সোনামুখী ঝুলি, খরিদা কুমারপাড়া, মথুরাকাটি, ভবানীপুর, জয়হিন্দনগর)
খড়গপুর গ্রামীনের কেশিয়াশোল, মোহনপুর ২, জকপুর, জফলা (সালুয়া,পশ্চিম পাথরি,গোপালি,হুড়হুড়িয়া, চকমকরামপুর, রিষা ৩, সামরাইপুর টাটা মেটালিক আবাসন, বড়ডিহা, আমগাছিয়া হরিয়াতাড়া)
খড়গপুর মহকুমার ডেবরা থানার অর্জুনি, হরিহরপুর, পশ্চিমলহনা, কাঁকরা, ইতাই (চকহরিপুর, আলিশাগড়, হাউর) সবং সদরে ১জন ছাড়াও আক্রান্ত পাওয়া2 গেছে গোপালপুর (বাজারপাড়া, আন্দুলিয়া, হাসপাতাল নার্স ২, বাড়কমল ) পিংলা থানার মল্লারপুর, পাইকাউ ধনেশ্বরপুর, ধনেশ্বরপুর, পিন্ডরুই, পাঁচথুবি, করকাই ২, কেশিয়াড়ী সদরে ১জন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। তাছাড়াও আক্রান্ত মিলেছে এলাসাই, খেজুরকুঠি, (কেশিয়াড়ী ২, হাতিগেড়িয়া) মোহনপুরের সামসারা পারোই,
দাঁতন চাউলিয়া, পুন্ডরা, কোটপাদা, আসন্দা ২, থেকে আক্রান্ত পাওয়া গেছে। বেলদার আক্রান্তরা হলেন রসুলপুর, সুসিন্দা ৩, আম্বিডাঙর, ময়না এলাকার। নারায়নগড়ের বিরবিরা ২, কোতাইগড়, আমডিহা, হেতাধান গ্রাম থেকে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে।
মেদিনীপুর শহরের সুনির্দিষ্ট ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি ৬ জনের। বাকি আক্রান্তরা রাজা রামমোহননগর ৩, কুইকোটা ৩, হবিবপুর ৭, অরবিন্দনগর ৪, খাসজঙ্গল আবাস ৪, নজরগঞ্জ ৫, শেখপুরা ৩, রাঙামাটি ৫, তোড়াপাড়া, তাঁতিগেড়িয়া ২, তলকুই, বিবিগঞ্জ ২, সিপাইবাজার, মহাতাপপুর ২, মির্জাবাজার ৩, কামারাড়া, রাজাবাজার ৩, কেরানীচটি, গান্ধীঘাট, পুলিশ লাইন, আবাস ২, কর্নেলগোলা, বিধাননগর, মেডিক্যাল কলেজ, বড় আস্তানা ৬৫ (৯/২৬) (হবিবপুর, মির্জাবাজার, মেডিক্যাল কলেজ, রাঙামাটি ২, নজরগঞ্জ, খাসজঙ্গল, তোড়াপাড়া ৩, কেরানীচটি ৩, আশুতোষনগর ৩, সিপাইবাজার, গান্ধীঘাট, কোতবাজার, শেখপুরা, পালবাড়ি ২, কুইকোটা ২, ধর্মা, বড়আস্তানা, দেশবন্ধুনগর, মিত্রকম্পাউন্ড, পাহাড়িপুর, মানিকপুর, চন্ডিপুর, দ্বারিবাঁধ, বল্লভপুর,পোষ্ট অফিস রোড)
মেদিনীপুর সদর ব্লকের শিরোমনি ২, গোপগড়, বানপুরা, টিকাপাড়া, নারায়নপুর, চড়কা, গুড়গুড়িপাল, ৮ ( খয়েরউল্লাচক, বাছুরডোবা, গোপগড় ২, বেলাশোল ৩, বেনাপুকুর, হেতাশোল, মালিদা, সাঁকোটি )
সদর মহকুমার গড়বেতা থানার নেড়াকোপা,সাতবাঁকুড়া ২, সরবেড়া (বগডিহা, মালিডাঙ্গা নয়াবসত ৩)
গোয়ালতোড় থানার শালগেড়িয়া, কেশিয়া, রাউতাড়া ২, কেয়ামাচা, কাদাশোল, শালবনী সদরে ২জন আক্রান্ত ছাড়াও দেবগ্রাম, (শালবনী, পিড়াকাটা, গোদাপিয়াশাল, )
কেশপুর থানার পশ্চিম কেশপুর ২, ভাগীরথবাড়, আনন্দপুর ২, (আম্বলবাণী, কেশপুর ৪, )
ঘাটাল মহকুমার ৩ মহকুমায় ২দিনে মাত্র ৩৩জন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। যেমন ঘাটাল থানার কন্দর্পচক,ইড়পালা ২, কুশমান ২, কৃষ্ণনগর (বগাগেড়িয়া, অর্জুনারি, শ্রীধরপুর, হরিশপুর, কোতলপুর, রঘুনাথপুর, সাহেবগঞ্জ, মহিষামুড়ি, কুসমান, মান্দারিয়া, শিতলপুর, অকবপুর) দাসপুর সদরে ১জন, উদয়চক (দেবকুল)
চন্দ্রকোনার জামিরা, পুরুষোত্তমপুর ২, (চাইপাট, নিলগুনজা, সোনারবেড়, মৌলা, ক্ষীরপাই, সাঁকোটি, রামজীবনপুর, ভগবন্তপুর )