নিউজ ডেস্ক : সরকার স্থির করেছেন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে। আর সেই পর্যায়ে টোটোচালকদের জন্য বরাদ্দ টিকা জালিয়াতি করে অন্যদের দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়িতে। এই নিয়ে বুধবার সিআইটিইউ অনুমোদিত ই- রিকশা চালক ইউনিয়নের সদস্যরা জলপাইগুড়ি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে এই অভিযোগ জানান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সবুজ শহরে।
একটি সূত্র মারফৎ জানা গেছে সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুপার স্প্রেডার হিসাবে রাজ্য জুড়ে টোটোচালকদের টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী জলপাইগুড়ি পুরসভায় তিনদিন ধরে টোটোচালকদের টিকা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হয়। জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রয়াস হল ও কংগ্রেসপাড়ার পৌর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে টোটোচালকদের টিকার জন্য তালিকা টাঙানো হয়েছিল। এই মুহূর্তে জলপাইগুড়ি শহরে প্রায় সাত-আট হাজার টোটো চলাচল করলেও তিনদিনে মাত্র ৪৫০ জন টোটোচালকের তালিকা টাঙানো হয়। অভিযোগ, তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও টিকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন টোটো চালকরা। টিকার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন তারা।
পুরসভার ওই দুই টিকাকেন্দ্রে টোটোচালকদের নাম করে অন্যদের টিকা দেওয়ার অভিযোগ করেন টোটোচালকরা। জলপাইগুড়ি শহরের শিরীষতলার বাসিন্দা টোটোচালক জগদীশ সরকারের মত অনেক টোটোচালক কংগ্রেসপাড়ার টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। টোটোচালকদের দাবি, তাদের নাম করে অন্যদের টিকা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বুধবার এদিন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন ই- রিকশা চালক ইউনিয়নের জেলা সম্পাদক শুভাশিস সরকার। এই নিয়ে অভিযোগ করেন তিনি। পরিচয় পত্রের ভিত্তিতে টোটোচালকদের টিকার দাবি জানিয়েছেন তিনি। টোটোচালকদের জন্য বরাদ্দ টিকা অন্যদের দিয়ে দেওয়ায় তীব্র নিন্দা করেন।
এদিকে এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে কিছু স্থানীয় মাতব্বর যারা টিকাকরনের সঙ্গে যুক্ত কিছু অসাধু স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে মিলে এই জালিয়াতি করছে এমনটাই অভিযোগ। অনেকের অনুমান এই জালিয়াতির পশ্চাতে টাকা লেনদেনের বিষয় থাকতে পারে। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে টিকা বিক্রি করা হচ্ছে বে-আইনি ভাবে।