Homeএখন খবরডেবরায় জেলার দ্বিতীয় কোভিড হাসপাতাল! 'এবার তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য প্রস্তুতি' উদ্বোধনে...

ডেবরায় জেলার দ্বিতীয় কোভিড হাসপাতাল! ‘এবার তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য প্রস্তুতি’ উদ্বোধনে এসে বললেন দেব

শশাঙ্ক প্রধান : ‘ এখন আ্যম্বুলেন্সের সাইরেন শুনতে পাওয়া অনেকটাই কমে গেছে। অক্সিজেনের ঘাটতি মিটিয়ে অনেকটাই স্বস্তি মিলেছে রাজ্যে। এবার শুনছি করোনার তৃতীয় ঢেউ, চতুর্থ ঢেউ আসছে। আমাদের সরকার এখন লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে, আমরা অনেকটাই তৈরি।” ডেবরায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দ্বিতীয় কোভিড হাসপাতালের উদ্বোধন করতে এসে এমনটাই জানালেন ঘাটাল সংসদীয় ক্ষেত্রের সাংসদ তথা অভিনেতা দেব ওরফে দীপক অধিকারী।

ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলের ১৩৫টি শয্যা নিয়ে তৈরি হয়েছে জেলার দ্বিতীয় কোভিড হাসপাতাল। লেবেল থ্রি মানের এই করোনা হাসপাতালে থাকছে ২০টি এইচ.ডি.ইউ (HDU) শয্যা। থাকছে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবারহ ব্যবস্থা। হাসপাতালের মধ্যেই প্রতিস্থাপিত একটি প্ল্যান্টে সঞ্চিত অক্সিজেন পাইপ বাহিত হয়ে পৌঁছে যাবে প্রতিটি করোনা রোগীর শয্যার পাশে। প্রয়োজন অনুসারে সেখান থেকেই রোগীকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে।

দেব জানালেন, ‘ করোনা হলেই মানুষ মারা যাচ্ছেনা, মারা যাচ্ছে হাসপাতালের অভাবে, অক্সিজেনের অভাবে। সেই সমস্যাতো কিছুটা হলেও আমাদের ছিল। বিশেষ করে গ্রামীন এলাকায় করোনা হাসপাতালের সুবিধা ছিলনা। সেই জায়গাটা এখন পূরণ করার চেষ্টা করছেন আমাদের নেত্রী। বাংলার মেয়ের মতই, পরিবারের বড় মেয়ের মতই তিনি এই করোনা কালে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। রাস্তায় নেমে কাজ করেছেন। দেশ কেন বিদেশেও কোনও সরকার প্রধান এমন করেছেন বলে আমার জানা নেই।”

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসক রশ্মি কোমল জানিয়েছেন, শালবনি কিংবা মেদিনীপুর সদরের বাইরে গিয়ে জেলার প্রান্তিক মানুষের কথা ভেবেই এই হাসপাতাল করা হয়েছে। করোনা রোগীর ক্ষেত্রে দূরত্ব একটা বিষয় যা শালবনীর ক্ষেত্রে অনুভত হয় আবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে করোনা চিকিৎসা হলেও মারাত্মক চাপ রয়েছে তাঁদের। সেই জায়গা থেকে এই অঞ্চল এবং আশেপাশের থানার ক্ষেত্রে ডেবরা অনেকটাই সুবিধা জনক অবস্থানে রয়েছে। একই ভাবে ঘাটালেও জোর কদমে কাজ চলছে করোনা হাসপাতাল চালু করার।”

করোনা কালের শুরুতেই করোনা হাসপাতালহীন ছিল পশ্চিম মেদিনীপুর। মেদিনীপুর শহরের লাগোয়া একটি ছোটখাটো বেসরকারি হাসপাতাল আর পূর্ব মেদিনীপুরের বড়-মাই ছিল ভরসার। এরপরেই শালবনীই জেলার প্রথম সর্বাত্মক করোনা হাসপাতাল যা একই সাথে লেবেল থ্রি ও ফোরের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেয়েছে। আয়ুস, বা জেলার মহকুমা হাসপাতাল গুলিতে রয়েছে সেফ হোম বা করোনার মৃদু উপসর্গ যুক্ত অথবা করোনা সন্দেহ করা হচ্ছে এমন রুগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা। অন্যদিকে পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে একটি কোভিড ইউনিট চালু করা হলেও তার শয্যা সংখ্যা খুবই কম। সেই দিক থেকে শালবনীর পরে ডেবরাই হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ করোনা হাসপাতাল যা শুধুমাত্র করোনা চিকিৎসার জন্যই উৎসর্গ করল সরকার।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাই চন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, “মহকুমা হাস পাতালের পাশাপাশি এতদিন ডেবরাতেও সেফহোম ছিল, সেফহোম চালু হয়েছে সবংয়েও। তাছাড়া আয়ুসের মত বড় স্যাটেলাইট হাসপাতাল তো রয়েইছে। আগামী কাল (মঙ্গলবার)থেকে চালু হয়ে যাচ্ছে ডেবরার করোনা হাসপাতাল। এরপর ঘাটালের হাসপাতাল চালু হয়ে গেলে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অনেকটাই শক্তিশালী হবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা।”

RELATED ARTICLES

Most Popular