নিউজ ডেস্ক: সময়ের আগেই এদিন আছড়ে পড়ছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এখন ক্রমশ স্থলভূমির দিকে এগিয়ে আসছে এই ঘূর্ণিঝড়। পরিস্থিতির ওপর নিরন্তর নজরদারি রাখা হচ্ছে নবান্ন থেকে। মঙ্গলবার, সারারাত নবান্নেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে,ততক্ষণ তিনি নবান্নেই থাকবেন। অনেকগুলি বাঁধ ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ‘
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে ১৫ লক্ষ মানুষকে । পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, কলকাতা, সংলগ্ন জেলা হুগলি, নদিয়া, এই সমস্ত জায়গায় ঘণ্টায় ৭৫ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। উপকূলবর্তী এলাকায় হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকগুলি বাঁধ ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত। বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে পড়েছে। এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১টি বাঁধ ভেঙেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৫টি বাঁধ ভেঙেছে। দিঘা থেকে অনেক লোককে সরানো হয়েছে। দেড় লক্ষ লোককে সরানো হয়েছে। আরও লোক সরানোর চেষ্টা চলছে। জেলাশাসক করোনা আক্রান্ত। সেই অবস্থাতেও কাজ করছেন।
তিনি যোগ করেছেন, ‘কলকাতায় এখনও সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ভরা কোটালের জন্য কী হবে জানি না। সরকার নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধান থাকুন। ৭-৮ ঘণ্টা সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়াও,মোট সাড়ে ১১ লক্ষ লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। ভরা কোটালের জন্য বাংলায় ক্ষতি বেশি হবে। ‘
উল্লেখ্য,এদিন সকালে দিঘার সমুদ্রের ভয়াবহ রূপ দেখা যায়। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে রাস্তায় চলে আসে ঢেউ। বৃষ্টির পাশাপাশি বইতে থাকে ঝড়ো হাওয়া। জলের তলায় চলে যায় সমুদ্রের আসে পাশের দোকানগুলি। গার্ডওয়াল টপকে দিঘা শহরে জল ঢুকতে শুরু করে সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ।স্থানীয়দের দাবি তারা এর আগে দিঘার এরকম রূপ দেখেননি।
ঝড় আসার আগেই দিঘা ও তার আশপাশের এলাকা থেকে বাসিন্দা ও স্থানীয় হোটেল থেকে সমস্ত কর্মীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ।
দিঘার পর, মন্দারমণিতেও প্রভাব দেখাতে শুরু করেছে ইয়াস। জলমগ্ন হয়ে পড়ে সমুদ্রের আশে পাশের হোটেলগুলি । রেহাই পায়নি আশ-পাশের এলাকা গুলিও। প্রবল ঝোড়ো হাওয়ায় উড়ে গিয়েছে বেশ কিছু বাড়ির চাল। বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত।