নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের খড়গপুর শহরে রেল বনাম রাজ্য সংঘাত এবং করোনা আবহে এই সংঘাত ভিন্ন মাত্রা পেল রেল শহরে ! রেলের জমিতে একটি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রেল কর্তৃপক্ষ জল সরবারহ বন্ধ করে দিয়েছে এমনই অভিযোগ উঠল। যদিও রেলের তরফে এরকম কোনও ঘটনার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিজেপি বনাম তৃনমূলের চাপান উতোর।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, রেল শহরে মালঞ্চ রোডের দক্ষিণ দিকে ধোবিঘাট এলাকায় রাজ্য সরকারের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে যা স্টেট মেডিক্যাল নামেই পরিচিত। নিমপুরা, মালঞ্চ, আরামবাটি, রাখাজঙ্গল সহ শহর ও গ্রামীণ অংশের বহু মানুষ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওপর নির্ভরশীল। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি রেলের এলাকার মধ্যে অবস্থিত। জমিতে চলে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। আচমকাই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্বাভাবিক ভাবেই ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় রোগী থেকে শুরু করে চিকিত্সক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের। করোনা কালে হাত ধোয়ার মত গুরুত্বপূর্ণ কাজটিও করা যাচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা। সমস্যায় পড়েন আবাসনের বাসিন্দা।
বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন খড়গপুর পৌরসভার প্রশাসক তথাপ্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ সরকার। সরকার দাবি করেন, কর বকেয়া থাকার কারণে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জল সরবারহ বন্ধ করে দিয়েছে রেল। বিষয়টিকে অমানবিক বলেও জানিয়ে দেন তিনি। এদিকে খবর পেয়ে ছুটে আসেন সদ্য জয়ী বর্তমান খড়গপুর বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা, অভিনেতা হিরণ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিত্সক ও লাগোয়া আবাসনে গিয়ে আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সমস্ত কিছু জানার পর তিনি বলেন,” জলবন্ধের দাবি সঠিক নয়। এটা নিয়ে মিথ্যা রাজনীতি করা হচ্ছে। তৃণমূল। জল সরবরাহ বন্ধ করেনি রেল। যে পরিমান জল আসার কথা তা কোনও কারণে আসছে না। দ্রুত এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা হবে।
উল্লেখ্য রেলের জমিতে পানীয় জল, বিদ্যুৎ সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে রেল বনাম রাজ্য সংঘাত লেগেই থাকে। বহুবারই রেল এলাকায় জলের উৎস তৈরি বা বিদ্যুতের খুঁটি বসাতে বাধা দিয়েছে রেল। পৌরসভা বা রাজ্যের বক্তব্য রেল এলাকায় উন্নয়ন করতে দেয়না অন্যদিকে রেলের বক্তব্য তার এলাকায় অবৈধ ভাবে নির্মাণকার্য চালাতে চায় রাজ্য। যদিও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার মত ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। এক্ষেত্রে রেল দাবি করেছে তারা সচেতন ভাবে জল বন্ধ করেনি। কোথাও কোনও সমস্যা হয়েছে তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।