নিজস্ব সংবাদদাতা: রবিবার, ছুটির দিনে একটু দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা আর বেলার দিকে বাজারে গিয়ে গিন্নির ফাই ফরমাস মত ভালমন্দ কেনা কেটা আর নিয়ম ভেঙে বেলার দিকে দুপুরের খাবার খেয়ে তৃপ্তির দিবানিদ্রা। আম বাঙালির পরিচিত সেই ঢিমে তালের বোলিং এদিন জোরেই ব্যাট হাঁকালো মেদিনীপুর পুলিশ। বেলার দিকে পাকা রুই মাছ কিনে বাড়ি যাওয়ার পথে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে থানায় যেতে হল ক্রেতাকে। ঘটনাটি ঘটেছে লকডাউনের প্রথম দিনেই মেদিনীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকায়।
আজ রাজ্য জুড়েই শুরু হয়েছে আগামী ২সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন। এই নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৭টা থেকে ১০টা অবধি শাক সবজি মাছ মাংসের দোকান খোলা থাকবে। ক্রেতাদের ওই সময়ের মধ্যেই বাজার করে ঘরে ফিরতে হবে। বিক্রেতাদেরও ওই সময়ের মধ্যে দোকান গুটিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও প্রথম দিন মেদিনীপুর খড়গপুর শহরের বহুবাজার তার পরেও খোলা ছিল যা পরে গিয়ে পুলিশের তৎপরতায় বন্ধ করা হয়েছে।
এই সময়েই কোতোয়ালি পুলিশ দেখতে পায় বেলা ১১টা নাগাদ বাজার করে এক ব্যক্তি ফিরছেন। মেদিনীপুর শহরে এদিন লকডাউন বলবৎ করার নেতৃত্বে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অম্লানকুসুম দত্ত। তিনিই ওই ব্যক্তিকে দাঁড় করান এবং প্রশ্ন করেন কেন তিনি ১০টার পরেও বাড়ির বাইরে রয়েছেন? ব্যক্তি জবাবে বলেন তিনি মাছ কিনতে গেছিলেন। থলে থেকে কিনে আনা পাকা রুইও দেখান তিনি।
যদিও এই যুক্তিতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কোনও অজুহাতেই বেলা ১০টার পর বাড়ির বাইরে থাকার নিয়ম নেই
তাই তাঁকে থানাতে যেতেই হবে। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের ঘোষ নির্দেশ দেন ওই ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে যাওয়ার। ইতিমধ্যে থানায় আরও বেশকিছু আইনভঙ্গকারিকে ধরে আনা হয়েছিল যাঁদের মধ্যে আইন ভেঙে বের হওয়া পথচারীরাও ছিলেন। লকডাউনের প্রথম দিন হওয়ায় সবাইকে আজ সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে আগামীকাল, সোমবার থেকে সময়ের বাইরে রাস্তায় বের হলে এবং তারজন্য উপযুক্ত কারন না দেখাতে পারলে মহামারি আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাশাপাশি প্রতিটি বাজারে গিয়ে পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে ঘড়ি ধরেই বেলা ১০টার মধ্যেই দোকানবন্ধ করতে হবে এবং সেই মত বিক্রিবাটার ব্যবস্থা করতে হবে। মাছ বা মাংস কাটা হয়ে পড়ে রয়েছে বা সবজির ডালা গোছাতে দেরি হচ্ছে এমন কোনও অজুহাতই শোনা হবেনা।