নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমশ ভয়ংকর হচ্ছে করোনা সংক্রমণ। এই নিয়ে টানা ৭ দিন ১০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন করোনায়। পাশাপাশি দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ঘোরাফেরা করছে ২০ হাজারের কাছাকাছিতে।
রাজ্যে করোনা ভাইরাসের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে এবং দ্রুত কেস বৃদ্ধি পাওয়ায় মৃত্যুর পরিসংখ্যানও বাড়ছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৪৪৫ জন এবং মৃত ১৩৪ জন। বঙ্গে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১,২৬,৬৬৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১৮ হাজার ৬৭৫ জন। যার ফলে রাজ্যে এই মুহূর্তে পুনরুদ্ধারের হার দাঁড়াল ৮৬.২৬ শতাংশে।
রাজ্যে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দুই জেলা উত্তর ২৪ পরগনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৭১ জন মানুষ এবং কলকাতায় ৩,৯৪৮ জন। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪ ও ৪২ জনের। হাওড়াতে ১ হাজার ১৪৭ সংক্রমিত, মৃত ৬ জন। নদিয়ায় সংক্রমিত ১ হাজার ১৬ জন, মৃত ৬ জন।
উল্লেখ্য, সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অক্সিজেন এবং হাসপাতালে বেডের চাহিদা। ইতিমধ্যেই দফায় দফায় চিঠি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর থেকে সাহায্য চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সরঞ্জাম অক্সিজেন চেয়েও একাধিক চিঠি লিখেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বেড না পেয়ে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বহু রোগীর। আকাল অক্সিজেনেরও। সবমিলিয়ে রাজ্যে হাহাকারের ছবিটা বদলাচ্ছে না কিছুতেই।
অন্যদিকে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ রুখতে আরোপ করা হয়েছে আংশিক লকডাউন। সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন না হলেও সবাইকে লকডাউনের মত আচরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আসন্ন ঈদে কোথাও ৫০ জনের বেশি জমায়েত না করার আবেদন রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভিন রাজ্য থেকে এখানে আসলে আরটিপিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি চেষ্টা চলছে দ্রুত টিকাকরণের।