নিউজ ডেস্ক: দেশ যখন তীব্রতর করোনা যুদ্ধে ব্যস্ত, যখন প্রতিদিনই আক্রান্ত আর মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হচ্ছে। এমন একটা পরিস্থিতিতে যখন অনেকেই টিকা পাচ্ছেন না। টিকাকরন কেন্দ্রগুলির বাইরে রোজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন। তাও সবাই টিকা পাচ্ছেন না। যখন টিকা স্তুতকারী সংস্থা এবং কেন্দ্র নিজেই দাবি করছে টিকা করন বাড়লেই পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
অথচ সেই টিকার হাহাকারের মাঝেই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া।1 তাঁর অভিযোগ গত ৩ মাসে কেন্দ্রীয় সরকার সাড়ে ৬ কোটি টিকার ডোজ বিদেশে পাঠিয়েছে। মনীশ দাবি করেছেন বহু মৃত্যুকেই আমরা প্রতিহত করা যেত যদি প্রথমেই দেশের মানুষকে টিকা দেওয়া যেত। রবিবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, নিজের ভাবমূর্তি তৈরি করতে আর আন্তর্জাতিক সৌভ্রাতৃত্বের মূল্য আদায়2 করতে প্ৰধানমন্ত্রী ভারতীয়দের টিকাপ্রদানের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেননি।
সিসোদিয়া বলেন, এটা রীতিমত জঘন্য অপরাধ করেছে কেন্দ্র যখন আমার নিজের দেশের মানুষ মারা যাচ্ছেন তখন নিজের ইমেজ ম্যানেজ করার জন্য কেন্দ্র সরকার অন্য দেশকে টিকা বিক্রি করছে! একটি সংবাদপত্রের রিপোর্ট উল্লেখ করে সিসোদিয়া বলেছেন, এমন ৯৩ টি দেশকে কেন্দ্র করোনা ভ্যাকসিন বিক্রি করেছে যার ৬০ শতাংশই করোনাকে নিজেদের দেশে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে চলে এসেছে এবং সেই দেশগুলিতে বর্তমানে করোনার কাছ থেকে কোনও মৃত্যু ভয়ই নেই।
যখন করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের একটি বৃহৎ সংখ্যক যুবক যুবতী প্রতিদিন মৃত্যুর কাছে হেরে যাচ্ছেন তখন তাঁদের জীবন রক্ষা না করে কেন্দ্র বিদেশে ভ্যাকসিন রপ্তানি করছে। মণীশের দাবি, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অন্তত ১ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।তাঁদের অনেকে এই টিকা পেলে প্রাণে বাঁচতেন। তিনি বলেন সরকারের এখন কর্তব্য হল, যে রাজ্যগুলি টিকা সঙ্কটে রয়েছে তাঁদের অবিলম্বে ভ্যাকসিন দেওয়া। দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দিল্লি আগামী তিনমাসের মধ্যে সমস্ত দিল্লিবাসীর টিকা করন করানোর জন্য প্রস্তুত যদি কেন্দ্র পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন সরবরাহ করে।
মনীশ বলেন, ১৮ থেকে ৪৫ বছরের জন্য আমাদের মাত্র ৫.৫লক্ষ ভ্যাকসিন দিয়েছে কেন্দ্র অথচ সাড়ে ৬কোটি ডোজ কেন্দ্র অন্যদেশকে বিক্রি করে বসে রয়েছে। এই সংখ্যাই প্রমান করে দেয় কেন্দ্র সরকার এদেশের তরুণ প্রজন্মের জীবনকে কতটা মূল্য দেয়। অথচ কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড প্রভৃতি দেশগুলি প্রতিদিন নতুন নতুন ভ্যাকসিন জমা করছে নিজেদের নাগরিকদের জন্যই।