নিজস্ব সংবাদদাতা: ২৯৪টি কেন্দ্রে বিজেপি যে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল তারমধ্যে ১৪৮ জনই দলবদলু এবং এই দলবদলুর সিংহভাগই তৃনমূল থেকে আসা। এটাই অভিশাপ বিজেপি আর আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়ালো তৃনমূলের পক্ষে। কারন কিছুদিন আগেও যে তৃনমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ট্রেনে বাসে তৃনমূল নেতা কর্মীদের কান পাতা দায় হত সেই দুর্নীতির দায় পুরোপুরি চলে গেছে ওই দলত্যাগী তৃনমূল নেতাদের ঘাড়েই।
শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব ব্যানার্জী, শীলভদ্র দত্তরা দল ছাড়ার ফলে তৃনমূল শুদ্ধ হয়েছে আর তাঁদের গিলে নিয়েই বিজেপি ‘পাপী’ হিসাবে চিহ্নিত হয়ে গেছে। আর সেই দলত্যাগীদের প্রায় ৭০ শতাংশই বর্তমানে পিছিয়ে শুধু নয় চূড়ান্ত পরাজয়ের মুখেও। শুভেন্দু অধিকারী ব্যক্তিগত ভাবে প্রথম দিকে এগিয়ে থাকলেও ফের জোরালো টক্কর দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিজেপিতে যোগদান পূর্ব মেদিনীপুর সহ বাংলায় বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়ে দিল তৃনমূলকে।
দলবদলুর মধ্যে পরাজিত হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, শীলভদ্র দত্ত, বৈশালী ডালমিয়া, রুদ্রনীল ঘোষ, সব্যসাচী দত্তের মত দলত্যাগীরা পরাজয়ের মুখে। ঠিক এমনি পরাজয়ের মুখে জেলায় জেলায় পদত্যাগী তৃনমূল প্রার্থীরাও। অর্থাৎ তৃনমূল ছাড়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাঁদের গদ্দার বলে দেগে দিয়ে দিয়েছিলেন সেই ‘গদ্দার’রা দল ছাড়ায় তৃনমূল অনেকটাই শুদ্ধ হয়েছে বলে মেনে নিয়েছেন মানুষ তাই তাঁদের বেশিরভাগকেই আর ফিরিয়ে আনার কথা ভাবেননি মানুষ।
উল্টোদিকে তৃণমূল থেকে আসা এই নব্য বিজেপি বা তৎকাল বিজেপিরা দলে আসায় ধন্দে পড়েছেন ভোটাররা। শুধু ভোটার নয় ধন্দে পড়েছেন বিজেপির পুরানো নেতা কর্মীরাও। ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। প্রশ্ন উঠেছে পুরানো নেতাদের বাদ দিয়ে কেন তৃনমূলের পচা আলুদের গিলতে হল বিজেপিকে।