নিউজ ডেস্ক: ভারতে দিন প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে।অনেকেই হোম রিমেডি নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন। অনেকে আবার ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি নিজেদের ওপর প্রয়োগ করছেন। এই হোম রিমেডি কতটা উপকারী? আমরা কোনও বিপদ ডেকে আনছি না তো? এই প্রশ্নের উত্তরে কী বলছেন বিশেষঞ্জরা, দেখে নেওয়া যাক-
দেশজুড়ে শুরু হয়েছে অক্সিজেনের ঘাটতি। বাড়িতে অক্সিজেন তৈরী মারাত্মক হতে পারে বলে মত বিশেষঞ্জদের। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে অক্সিজেনের আকাল দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ঘরোয়া পদ্ধতিতে অক্সিজেন বানানোর পদ্ধতি ঘুরছে।অনেকে তা দেখে বাড়িতে বসে বানানোর চেষ্টা করছে। যা মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
২৫ এপ্রিল গুগল ট্রেন্ডসে সবার উপরে ছিল সংকটকালীন পরিস্থিতিতে বাড়িতে কিভাবে অক্সিজেন তৈরি করা যাবে। অপরদিকে এ জাতীয় ইউটিউব ভিডিওগুলিতে কয়েক লক্ষ ভিউ হয়েছে কয়েকদিনে।এমনকি ইউটিউবে বৈদ্যুতিন বিশ্লেষণের মতো পদ্ধতির মাধ্যমে কীভাবে অক্সিজেন তৈরি করা যায় সেই ভিডিওগুলি সংখ্যায় প্রচুর বেড়েছে।
তামিলনাড়ু রাজ্যের ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি রবিকুমার রয়টার্সকে বলেছেন, কনসেন্ট্রেটরের মাধ্যমে মেডিক্যাল অক্সিজেন বানানোর বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি রয়েছে। তবে সেগুলো বাড়িতে বসে করার চেষ্টা করলে বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস নিঃসৃত হতে পারে। এমনকি বিস্ফোরণ পর্যন্ত হতে পারে। যা সাধারণ মানুষের জন্যে ভয়ঙ্কর প্রমাণিত হতে পারে। চেন্নাইয়ের আইসিএমআর-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজির বিজ্ঞানী তরুন ভট্টনগর, ঘরের অক্সিজেন তৈরী করাকে “অনির্ধারিত ও অবিশ্বাসযোগ্য পদ্ধতি” বলে অভিহিত করেছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনভাইরাস নিরাময়ের বিষয়ে বলেছে যে, বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা কোভিড-১৯ চিকিৎসার সন্ধান এবং বিকাশের জন্য কাজ করছেন। নিজেরদের বানানো কোনও ওষুধকে সম্মতি দেয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রক তাৎক্ষণিকভাবে এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
ভারত সরকার বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি জারি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত একটি পোস্টকে “বিভ্রান্তিমূলক” বলে উল্লেখ করেছেন। পোস্টটি একটি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নিয়ে ছিল। যেখানে দাবী করা হয়েছিল, ওই ওষুধটি খেলে অবিলম্বে করোনা আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেনের মাত্রার ভারসাম্য বজায় থাকবে।