নিজস্ব সংবাদদাতা: অতিমারির মধ্যেও নিশ্চুপ নেই অন্যান্য রোগ ব্যাধি, দুর্ঘটনা। তাই রক্তের প্রয়োজন শুধু নয় বরং সঙ্কটটা অনেক বেশিই। কারন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় রক্তদাতার সংখ্যা কমছে। চাহিদার তুলনায় রক্তের এই সংকট মেটাতে এগিয়ে এলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ভেটেরিনারি অ্যালামনি অ্যাসোসিয়েশনের হুগলী জেলা শাখার সদস্যরা। রবিবার চুঁচুড়া ঘড়ির মোর সন্নিকটস্থ জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ অফিসে অনুষ্ঠিত হল এই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও জেলার প্রতিটি ব্লক থেকে পঞ্চাশাধিক প্রাণীসম্পদ বিভাগের বি. এল. ডি. ও., প্রাণীচিকিৎসক, প্রাণীবন্ধু, প্রাণীমিত্রা, প্রাণীসেবি ও সাধারণ জনগন কোভিড প্রোটোকল মেনে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেণ।
অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে উপস্থিত জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ বিভাগের উপ-অধিকর্তা, ডাঃ রুপম বড়ুয়া জানান যে কোনও দান যেটা সমাজের কাজে লাগে, মানুষ হিসেবে সেটা সব সময়ই অতুলনীয়। অনেকের মনে হতেই পারে, যে এই কোভিড অতিমারীর মতন কঠিন সময়ে কেন এই রক্তদান ?
উত্তরটা ওদের কাছে জানতে পারা যেতেই পারে, যাদের পরিবারে কেউ থ্যালাসেমিয়া, ডায়ালিসিস, ব্লাড ক্যান্সার, পথ-দূর্ঘটনা বা অন্য রোগের শিকার, যেখানে রক্তটাই জীবন। এমনিতেই আমরা জানি, যে গরম কালে রক্তদান শিবির খুবই হাতে গোনা হয়, তার পর এই বছর এই লম্বা ভোটপর্ব আর সব থেকে ভয়াভয় কোভিড এর মতন অতিমারী। এই তিনটে কারণেই এই মহাদান সংগঠিত করতে কেউই এগিয়ে আসছে না।
এই মহা-উদ্যোগ নেওয়ার জন্যে WBVAA হুগলী শাখা কে মন থেকে কুর্নিশ জানাই। যারা রক্তদান করলেন আর যারা এই মহতী অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য পরোক্ষ আর প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত, তাদের সেই সব পরিবারের পাশে থাকার জন্য অন্তহীন কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ জানাই।
এই কঠিন সময় এই মহান দানোত্তম রক্তদান উৎসব কে সফল করার জন্য সকল সদস্য কে অশেষ ধন্যবাদ জানাই।
উপস্থিত সংগঠনের রাজ্যসম্পাদক ডাঃ শুভেন্দু হালদার প্রতি বছর রক্তদানকে এক উৎসবে পরিনত করার জন্য হুগলীর সংগঠনের প্রতিটি সদস্যকে অভিনন্দন জানান। তিনি আরো বলেন আমাদের এই সর্ববৃহৎ সংগঠন পেশাগত বিভিন্ন লড়াই- এর পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজ কল্যানমূলক কাজের সাথে বছরভর যুক্ত থাকে। আম্ফানে, বন্যাত্রানে, কোভিড লড়াই-এ রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তে সংগঠন বিভিন্নভাবে জনসেবার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের ব্যাগ,বই,খাতা প্রদান, বস্ত্র-কম্বলদান, হাঁস,মুরগি,ছাগল,গাভি বিতরণ করে আসছে। যাঁরা রক্ত দিয়েছেন এবং অনুষ্ঠানটিকে সুন্দরভাবে সফল করার জন্য রাজ্যকমিটির পক্ষ থেকে সকলকে ধন্যবাদ জানান।
উপস্থিত ছিলের কেন্দ্রীয় কমিটির ডাঃ ফাল্গুনী চক্রবর্তী, ডাঃ রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, ডাঃ দেবজ্যোতি ঘোষ, ডাঃ জয়দীপ চ্যাটার্জী প্রমূখ।