বিশ্বজিৎ দাস:- করোনা ভাইরাসের জন্য গতবছর মার্চ মাস থেকে শুরু হয়েছিল লকডাউন।সেই বছরই কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম করোনা অতিমারীর সম্মুখীন হওয়ার পর, হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ‘করোনা যোদ্ধা’ আখ্যা দেয়।
নিজেদের জীবন বাজি রেখে অতিমারীর সময়ে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিয়েছেন তাঁরা নিজেরাও আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকি প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই।
এছাড়া কেন্দ্রের মোদি সরকার ‘করোনা যোদ্ধা’ আখ্যা দিয়ে ডাক্তার-নার্সদের উপর হেলিকপ্টার থেকে পুষ্প বৃষ্টি করে তাঁদের সম্মান জানায়। হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গিয়ে যদি কোনো ডাক্তার , নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়, তাঁদের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার জীবনবিমা প্রকল্পের ব্যবস্থা করে কেন্দ্র।কিন্তু সেই স্কীম হঠাৎই চুপিসারে বন্ধ করে দিল কেন্দ্র।
এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ১.৭ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু এক বছরের মাথায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এ বিপর্যস্ত দেশ,আর তা সামলাতে আবার হিমশিম খাচ্ছেন করোনা যোদ্ধারা আর ঠিক তখনই এই প্রকল্প বন্ধ করার সিদ্ধান্ত মোদি সরকারের।
সরকারি পরিসংখ্যান নুযায়ী,এখন পর্যন্ত কেন্দ্রের এই প্রকল্পের আওতায় মাত্র ২৮৭ জন করোনা যোদ্ধা ৫০ লক্ষ টাকা বিমার সুবিধা পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,সেই সময় শুধুমাত্র ডাক্তার-নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মী নন, সাফাই কর্মী ও আশা কর্মীদের জন্য ও এই জীবনবিমার সুবিধার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।জানা গিয়েছে এই বছরের ২৪ মার্চ এই প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়েছেন, সেখানে বলা হয়েছে করোনা যোদ্ধাদের জন্য ঘোষিত জীবনবিমা প্রকল্পের মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না।