অশ্লেষা চৌধুরী: শীতলকুচি কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রুখতে কড়া পদক্ষেপ; কোনভাবেই গুলি না চালানোর নির্দেশিকা জারি করল কমিশন। এবার বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে জটলা কিংবা জমায়েত হলেও গুলি চালানো যাবে না। সিআরপিসির ১৫১ বা ১৮৮ ধারায় আটক করুন। প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান, কিন্তু গুলি নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক–সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন নয়া মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি শীতলকুচির যে ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে, সেটির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে বলেও জানানো হয় এদিন। এই কনফারেন্স চলাকালীন আরও একটি বিষয়ও উঠে আসে, যেটি হল তৃণমূল সুপ্রিমোর মঙ্গলবারের ধর্না। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী সহ অনেকেই সেই সময় কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলেন, ধর্নাও তো এক ধরণের প্রচার। সেই বিষয়টিকেই এদিন নাকোচ করে দিয়ে কমিশন জানায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না নিয়ে আপত্তিকর কিছু দেখছে না কমিশন।
বৃহস্পতিবারই কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, একদফায় বাকি নির্বাচন করার কোনও পরিকল্পনা তাঁদের নেই। কারণ, এই কাজ করতে গেলে যত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন, তার আয়োজন করা সম্ভব নয়। বৈঠক শেষে বেরিয়ে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে বলেন, ‘শীতলকুচিতে যা পরিস্থিতি হয়েছিল, তাতে বুথ দখল হয়ে যেত। এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া অবাধ ভোটগ্রহণ সম্ভব নয়।’
প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই বিকাশ দুবে জানিয়েছিলেন বাহিনীর ওপর হামলা হলে গুলি চলবেই। আর বিকাশ দুবের এই কথাকে হাতিয়ার করে বৃহস্পতিবার বিকেলে হাবড়ায় জোর গলায় বলেন, “কেন্দীয় বাহিনীর ওপর হামলা হলে কিংবা মানুষের উপর হামলা বা মানুষকে ভোট দিতে বাঁধা দিলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানো উচিৎ, তাতে কে মরলো বা কে বাঁচলো কিছু দেখার দরকার নেই।” নিজের কথায় সিলমোহর দিতে রাহুল যোগ করেন, ‘আমি যে কথা বলেছি, সেই কথা নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি বলেছেন। আবারও বলছি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা হলে গুলি চলবে। কে মরল, কে বাঁচল, ভাবার দরকার নেই। ভোট শান্তিপূর্ণ করা দরকার। হিংসামুক্ত ভোট হওয়া দরকার।’