নিউজ ডেস্ক: সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার করোনা সংক্রমণ সামান্য কমলেও, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যা।ভারতবর্ষে করোনার দৈনিক সংক্রমণ সামান্য কমলেও মিলছে না স্বস্তি। ইতিমধ্যেই করোনার টিকাকরণ নিয়ে বিস্তর প্রশ্নের মধ্যেই ভয়াবহ আকারে বাড়ছে সংক্রমণ। গত কয়েকদিন প্রায় রোজই রেকর্ড হারে সংক্রমন দেখা গিয়েছে।
সোমবার প্রায় ১ লক্ষ ৬৯ হাজার মানুষ এই মারণ রোগের কবলে পড়েছেন, সে তুলনায় মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যাটা সামান্য কম হলেও পরিস্থিতি মোটেই অনুকূল নয়।
এর মধ্যেই হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা এবং অ্যাকটিভ কেস। মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি দিল্লি, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, কেরল এবং তামিলনাড়ুতে পরিস্থিতি ভয়াবহ। একই অবস্থা এরাজ্যেও। গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণ বাড়ছে রেকর্ড হারে।
মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৭৩৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ৭ হাজার কম। আপাতত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৪৫৩ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৫৮ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৮৭৯ জনের। এই সংখ্যাটাও অবশ্য গতকালের থেকে সামান্য কম।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৯৭ হাজার ১৬৮ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে বহু কম। যার ফলে দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ১২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬৯৮ জন। চলতি বছরে প্রথমবার অ্যাকটিভ কেস পেরোল সাড়ে ১২ লক্ষের গণ্ডি। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ২২ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬৯৭ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট টিকা পেয়েছেন ১০ কোটি ৮৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৮৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি। একইসঙ্গে একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণায় এদিনও সংক্রমিত হাজারেরও বেশি। করোনায় ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে বাংলায়। দেশের মতোই পশ্চিমবঙ্গেও দৈনিক সংক্রমণের ভিত্তিতে নতুন আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে প্রতিদিন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় সোমবারই নবান্ন থেকে বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ২০২০ সালে কোভিড সংক্রমণের সর্বোচ্চ অবস্থায় হাসপাতালগুলোতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিলো তার থেকেও ২০ শতাংশ অধিক ব্যবস্থা তৈরি রাখার নির্দেশ। ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই ব্যবস্থা তৈরির নির্দেশ নবান্নের। এরই পাশাপাশি মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন করা যেতে পারে কিনা তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। আরটিপিসিআর টেষ্ট বাড়ানোর নির্দেশ জারি হয়েছে।