নিজস্ব সংবাদদাতা: এবার বড়সড় ভাঙনের মুখে বীরভূমের কেষ্টর গড়। দলবল নিয়েই তৃনমূল ছাড়লেন জেলার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আলি মোর্তজা খান। প্রবলপ্রতাপান্বিত আলি মোর্তাজার দলত্যাগে ভালই ক্ষতি হতে পারে শাসকদলের এমনই ইঙ্গিত রাজনীতিবিদদের। ২০১৬ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিট বিধানসভায় লড়েছিলেন আলি মোর্তাজা। এরপর সেই নির্বাচনে হারের পর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তৃণমূলে যোগ দিয়ে বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি পদ পেয়েছিলেন আলি মোর্তাজা খান। কিন্তু ২০২১ এর নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে এবার তৃণমূলও ছাড়লেন তিনি। একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়ার ঘোষণা করেছেন আলি মোর্তাজা খান।
২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে বীরভূমের মুরারাই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন আলি মোর্তাজা খান। মাত্র ২৮০ ভোটে তৃণমূল প্রার্থী আব্দুর রহমানের কাছে হেরে যান তিনি। পরে যোগ দেন তৃণমূল। আর যোগ দিয়েই পেয়েছিলেন বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি পদ। দলের কাছে তাঁর আবদার ছিল একুশের নির্বাচনে মুরারাই কেন্দ্র থেকে টিকিটের জন্য কিন্তু দল প্রার্থী করেছিল সেই আব্দুর রহমানকেই। তারপরও দলে থেকে যান মোর্তজা। কিন্তু গোল বাঁধল অন্য একটি ঘটনায় যে কারনে মনে করছেন দল তাঁকে ব্যবহারই করেছে। কী সেই কারন?
আব্দুর রহমান প্রার্থী হওয়ার কদিন পরেই করোনায় আক্রান্ত হন। ফলে প্রচারে নামতে পারছেননা দেখে মুরারাই প্রার্থী বদলের জল্পনা প্রকট হয়ে ওঠে। মোর্তাজার ভাবনা ছিল এবার অন্ততঃ দলতাঁর কথা ভাববে। কিন্তু শনিবার যখন সেই জল্পনা সত্যি করে অবশেষে বীরভূমের মুরারাই কেন্দ্রে প্রার্থী বদল হল তখনও দেখা গেল শিকে ছেঁড়েনি আলি মোর্তাজা খানের। ওই কেন্দ্রে কংগ্রেস থেকে আগত মোশারফ হোসেনকে প্রার্থী করে তৃণমূল। না, এরপর আর দলে থাকার অর্থ খুঁজে পাননি আলি মোর্তাজা খান। নিয়ে নেন দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত। আর ঠিক করেছেন দলেরই বিরুদ্ধে নির্দল হয়ে দাঁড়াবেন।
তৃণমূল ছাড়ার পর আলি মোর্তাজা খান বলেন, ‘আশা ছিল প্রার্থী বদল করে ওই কেন্দ্রে আমাকে টিকিট দেওয়া হবে। কিন্তু আমাকে টিকিট না দিয়ে মশারফ হোসেনকে প্রার্থী করেছে দল। শীর্ষ নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে দলের কর্মী-সমর্থকরা ক্ষুব্ধ। আর তাঁদেরই মতামত নিয়ে এবার আমি মুরারাই কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” আলি মোর্তাজা খান জানান, আগামী ৭ তারিখ মুরারাই কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করবেন তিনি। ফলে এই কেন্দ্রে জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে শাসকদল।