নিজস্ব সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: ঝুলিতে বড়োসড়ো সাফল্য সালুগাড়া বনদপ্তরের। অভিযান চালিয়ে উদ্ধার পাঁচ লক্ষ টাকার সেগুন কাঠ। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে ফুলবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই সাফল্য পায় শালুগাড়া বনদপ্তর। অভিযান চালিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকার চোরাই সেগুন কাঠ উদ্ধার করে বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের শালুগাড়া রেঞ্জের বনকর্মীরা।
জানা যায়, গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে ফুলবাড়ি ঘোষ পুকুর বাইপাসে একটি তুস বোঝাই পিক আপ ভ্যান আটক করেন বন কর্মীরা। সেই তুসের বস্তার নীচেই রাখা ছিল সেগুন কাঠের লগগুলো। গয়েরকাটার তেলিপাড়া থেকে এই কাঠগুলো পাচার করা হচ্ছিল বিহারের উদ্দেশ্যে, বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান বনকর্মীদের।
এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছেন বনকর্মীরা। কাঠ সহ আরও একটি স্করপিও গাড়ি আটক করেছেন বনকর্মীরা। এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন শালুগাড়া রেঞ্জের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের শনিবারেই জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গে কাঠ পাচারের ঘটনা কিছু নতুন নয়। শিলিগুড়িকে করিডোর করে দিন প্রতিদিন বাড়ছে অপরাধী ও পাচারকারীদের দৌরাত্ম। কিছুদিন আগেই বন দপ্তরের সক্রিয়তায় ফের পাচারের আগেই উদ্ধার হয় বহু মূল্যের কাঠ। গ্রেফতার করা হয় ২ জনকে। সূত্র মারফৎ বনদপ্তরের আধিকারিকরা জানতে পারেন ডুয়ার্সের ওয়াশাবাড়ি থেকে একটি কাঠ বোঝাই ট্রাক বিহারের দিকে যাচ্ছে। ব্যস, খবর পাওয়া মাত্রই টিম তৈরি করে অভিযানে নেমে পড়েন বনকর্মীরা। শিলিগুড়ি শালুগাড়া থেকে বাগডোগরা পর্যন্ত পথে বনকর্মীরা ওত পেতে বসে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের সত্যতা প্রকাশ পায়। এরপর চোরাই কাঠ বোঝাই ট্রাকের পিছনে তাড়া করে ধরা হয় ট্রাকটি। অভিযানে ট্রাকে থাকা চালক এবং সহকারি চালক দুজনকেই গ্রেফতার করা হয় বনদপ্তরের তরফে। ধৃত ব্যক্তিদের নাম মানব বন্ধন ও বিশ্বজিৎ বর্মন। জেরায় ধৃতরা স্বীকার করে নেয় ওয়াশাবাড়ি থেকে তারা এই কাঠ নিয়ে বিহার যাচ্ছিল।
বন আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, একটা সিন্ডিকেট রাজ চালাচ্ছে, যার মাধ্যমে সমস্ত জঙ্গলের কাঠ বিহারে পাচার করার প্রক্রিয়া চলছে। বনদপ্তরের আধিকারিক সঞ্জয় দত্ত জানিয়েছেন, আটক হওয়া কাঠের বাজার মূল্য ১০লক্ষ টাকা। ধৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে অনেকের নাম পাওয়া গিয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন রেঞ্জার। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।