নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সোমবার সাতসকালে সল্টলেকের ঝুপড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণের আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকলের কর্মীরা। তবে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এদিন সকালে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের কাছে একটি অস্থায়ী ঝুপড়িতে আগুন লাগে। সেখানে প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছে দমকলের পাঁচ থেকে সাতটি ইঞ্জিন। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই অগ্নিকাণ্ডে ১০০টির কাছাকাছি ঝুপড়ি ও দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। তবে সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। তাই হতাহতের এখনও কোনও খবর নেই।
কিন্তু ঠিক কীভাবে ঝুপড়িতে আগুন লাগল, দমকল কর্মীরা অবশ্য এখনও স্পষ্টভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানাতে পারেননি। তবে মজুত থাকা দাহ্য পদার্থে আগুন লেগে তা ছড়িয়ে পড়ে বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিধাননগর থানার পুলিশ। উপস্থিত দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুও। তিনি বলেন, “হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে ওদের আর্থিক ক্ষতি অনেকটাই হয়েছে। ঠিক কতগুলি ঝুপড়ি ও দোকান ক্ষতিগ্রস্ত, আমরা দেখে নিচ্ছি।”
শহর কলকাতায় একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। এর আগে তপসিয়ার ঝুপড়িতে ভয়ংকর আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল বহু ঝুপড়ি। বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। সেই ঘটনার জল বহুদূর গড়িয়েছিল। বাসিন্দাদের বাড়ি করে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। এদিনের ঘটনায় ফের সেই স্মৃতিই উসকে গেল। তবে আগুন খুব বেশি ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন কর্মীরা। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্য়বসায়ীরা।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই শুরুর দিকে স্ট্র্যান্ড রোডে পূর্ব রেলের ভবনে ঘটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। বিধ্বংসী আগুনের খবর পেয়েই দমকলের ৬ টি ইঞ্জিন পৌঁছায়, পরবর্তীতে আরও ইঞ্জিন এসে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজে জুড়ে যান। প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষনে ঘটে যায় চরম ও মর্মান্তিক সেই ঘটনাটি। ৪ জন দমকল কর্মীসহ ঝলসে যায় ৯ টি তরতাজা প্রাণ। কিন্তু কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? জানা যায়নি প্রকৃত কারণ।