Homeএখন খবরঅতিমারিতে কাবু কলকাতা, উত্তর ২৪পরগনা, রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনা, পশ্চিম...

অতিমারিতে কাবু কলকাতা, উত্তর ২৪পরগনা, রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনা, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুরেও দাপট! নাইট কার্ফু জারি করে ফের লকডাউনের পথে মহারাষ্ট্র

নিজস্ব সংবাদদাতা: সময় যে ভাবে যাচ্ছে তাতে ভোট ফুরোনোর পরেই না লকডাউনের পথে হাঁটতে হয় বাংলাকে কারন রাজ্যে ফের করোনার দাপট শুরু হয়ে গেছে এবং প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত তিনদিনে কিভাবে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসাবে যে হিসাবে বলা হচ্ছে শুক্রবার রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত ছিল ৬৪৬ যা শনিবার হয়েছিল ৮১২ এবং রবিবার দিনের শেষে যা দাঁড়িয়েছে ৮২৭ অর্থাৎ ৩দিনে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২২৮৫ জন। মনে রাখতে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এটা যা শুরুর ২ মাসের মাথাতেই এই চেহারা নিচ্ছে। যদি এভাবেই চলতে থাকে তবে ফের লকডাউনের পথে হাঁটতে হবে বাংলাকে।
করোনা ইতিমধ্যেই ভয়ঙ্কর চেহারা নিতে শুরু

করেছে কলকাতা এবং উত্তর ২৪পরগনায়। ঠিক এমনটাই হয়েছিল গত বছর মার্চে, করোনা কালের শুরুতেই রাজ্যে ওই দুটো জেলাই এগিয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়েও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রবিবার কলকাতায় দৈনিক আক্রান্ত ছিল ২৯২ জন অন্য দিকে উত্তর ২৪পরগনায় ১৯৩ জন। এই দুটো জেলাতেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই আগের দিনের রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ‘করোনার প্রথম পর্যায়ে টিকে গিয়ে যারা ভাবছেন করোনা চলে গেছে আর খুব বাঁচা বেঁচে গেছি তাদের জন্য অর্থাৎ বাদ বাকি সবার জন্য আসছে প্রথমের চেয়েও আরও বড় ঢেউ। এবার টিকে যাওয়া আরও কঠিন হবে যদি না মানুষ সচেতন হন।’

পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও ধিরে ধিরে থাবা বসাতে শুরু করেছে করোনা এবং আনুপাতিক হারে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় নতুন করে ৩জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। ওই দিন একজনের মৃত্যু হয়েছিল। শনিবার জেলায় ৫জন নতুন করে আক্রান্ত হন। রবিবার আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন। অর্থাৎ গত ৩দিনে বাড়তি ১৭জন আক্রান্ত হলেন। এই তিনদিনে সুস্থ হয়েছেন ১০জন।
অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরে শুক্রবার নতুন আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭ জন। শনিবার সেটা বেড়ে ১০জন হয়ে যায়। রবিবার নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৯জন। গত তিন দিনে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৬জন। আর এই তিনদিনে সুস্থ হয়েছেন ১৩জন। অর্থাৎ দুই জেলাতেই আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার কিন্তু কমছে। যদি এই ভাবে চলতে থাকে তবে জেলায় ফের কোভিড শয্যায় সঙ্কট দেখা দেবে। এই মুহূর্তে পশ্চিমে ৬২ এবং পূর্বে ৫৭ জন সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রয়েছেন।

রাজ্যের যখন এই হাল তখন দেশের জন্য বড় দুঃসংবাদ এসেছে মহারাষ্ট্র থেকে। রবিবার থেকেই মহারাষ্ট্র জুড়ে রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করা হয়েছে। রবিবার থেকে শপিং মলগুলি রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুম্বাইয়ের রাস্তায় ব্যাপক পুলিশ নামানো হয়েছে। মাস্ক না পরলেই আটক এবং জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রবিবারই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঠাকরের নেতৃত্বে একটি বৈঠক করা হয়েছে। যেখানে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে, মুখ্য সচিব সিতারাম কুঁটে, করোনা টাস্ক ফোর্সের চিকিৎসকরা এবং অন্যান্য আমলারা উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকেই লকডাউনের পথে যাওয়ার কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা বাড়তে থাকা করোনার রোগীর সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

উদ্ধব ঠাকরে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, করোনা মোকাবিলার জন্য বর্তমান পরিকাঠামোও হয়তো কম পড়তে পারে। দ্বিতীয় ঢেউ যে ভাবে আছড়ে পড়ছে মহারাষ্ট্রে, তা কীভাবে সামাল দেওয়া যায়, তা নিয়ে চিন্তিত গোটা মহারাষ্ট্র প্রশাসন। এমনকী মহারাষ্ট্র প্রশাসনিক ভবন মন্ত্রণালয়ে সাধারণ মানুষের আসা আপাতত বন্ধ রাখার কথা বলা হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “মানুষ করোনা বিধি মানছে না। তাই  লকডাউনের পথে যাওয়া ছাড়া প্রশাসনের আর কোনও উপায় নেই।

RELATED ARTICLES

Most Popular