নিউজ ডেস্ক: বাস ও অটো রিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে অঙ্গনওয়ারিতে কর্মরতা ১২ জন মহিলার মৃত্যু। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন অটোচালকও। মধ্যপ্রদেশে গোয়ালিয়রে এই ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাতটা নাগাদ গোয়ালিয়রের পুরানি ছাওয়ানি অঞ্চলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি মোরেনার দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় অটো রিকশার সঙ্গে বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ১২ জন মহিলা এবং অটো রিকশার চালকের মৃত্যু হয়েছে। তবে দুর্ঘটনার পর বাস চালক পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
গোয়ালিয়রের পুলিশ সুপার অমিত সাঙ্ঘী জানিয়েছেন, ‘পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো মহিলারা সকলেই, একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নার কাজ করতেন। তাঁরা সেই কাজ সেরেই বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলেই আটজন মহিলা এবং অটো রিকশাটির চালকের মৃত্যু হয়। বাকিদের মৃত্যু হয় হাসপাতালে।’
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘শোকাহত পরিবারগুলির পাশে আছি। তাঁরা যেন নিজেদের একা না ভাবেন। আমরা তাঁদের পাশে আছি। রাজ্য সরকার মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেবে।’
চলতি মাসের গত সপ্তাহেও মধ্যপ্রদেশে একটি মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনাটি ঘটে মধ্যপ্রদেশের মন্ডলা জেলায়। একটি মিনি ট্রাক উল্টে গিয়ে মৃত্যু হয় ৫ জনের এবং ৪৬ জন আহত হন। পটলা গ্রামের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। সেদিন একটি গ্রামে বিয়েবাড়ি থেকে ফিরছিলেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তিরা। মৃতদের মধ্যে ২ জন মহিলা ও ৩ জন পুরুষ ছিলেন।
এছাড়াও ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে মধ্যপ্রদেশে ভয়ঙ্কর বাস দুর্ঘটনায় জলে ডুবে ৪৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে, হার মধ্যে ছিল ৪ জন শিশু। সেদিন বাসটি সিধি জেলা (রাজধানী ভোপাল থেকে ৫৬০ কিমি দূরে) থেকে সাতনার দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় বানসাগর খালের ওপরের ব্রিজ দিয়ে যাওয়ার সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। সেইসময় ৩৪ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হলেও পরবর্তীতে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭-এ। বাসটিতে ৫৪ জন যাত্রী ছিলেন। বাসটি পুরোপুরি জলে ডুবে যায় এবং বাসটি জল থেকে টেনে তুলতে প্রায় তিন ঘন্টা সময় লেগে যায়। বাস চালক সহ কমপক্ষে ৭ জন সাঁতরে তিরে উঠতে সক্ষম হন সেদিন। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল তথা এসডিআরএফ জানায়, উদ্ধার কাজে সুবিধার্থে বানসাগর খাল থেকে সিয়াওয়াল খালে জল ছেড়ে কমানো হয় জলস্তর। খালে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালানো হয়।