নিজস্ব সংবাদদাতা: মেদিনীপুর সদর ব্লকে এক সিপিএম নেত্রীর বাড়িতে ব্যাপক তান্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে অজ্ঞাত পরিচয় দুস্কৃতিদের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে মাটির বাড়ির ওপরের বাঁশের চালা সরিয়ে দুস্কৃতিরা ঘরের ভেতরে ঢুকে ওই তান্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুর সিপিএমের মেদিনীপুর সদর পূর্ব এরিয়া কমিটির ওই সদস্যা সোমা গোস্বামী। গোস্বামী সারা ভারত মহিলা সমিতির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্যাও বটে।
ঘটনাটি ঘটেছে কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েতের জাগুল গ্রামে যা আবার ২২৮ খড়গপুর গ্রামীন বিধানসভার অন্তর্গত। গোস্বামী জানিয়েছেন, ‘ আর্থিক সংস্থানের জন্যই গত কয়েকদিন আগে আমি ও আমার পরিবার মেদিনীপুর শহর লাগোয়া ধর্মায় বসবাস করছি ঠিকই কিন্তু আমার ওই গ্রামের বাড়ি থেকেই নির্বাচনী কাজ কর্ম পরিচালনা হচ্ছিল। আমি প্রতিদিন ওখানে গিয়েই আমাদের খড়গপুর গ্রামীন বিধানসভার প্রার্থী সাদ্দাম আলির হয়ে প্রচার চালাচ্ছিলাম কমরেডদের নিয়ে। আমার বাড়িতেই রাজনৈতিক ও প্রচার কার্যের যাবতীয় সরঞ্জাম রাখা থাকে যা নষ্ট করার লক্ষ্য নিয়েই দুস্কৃতিরা এই কাজ করেছে।”
সিপিএম নেত্রী জানিয়েছেন, ‘গতকাল রবিবার থাকায় কিছু জরুরি কাজ করার জন্য আমি গ্রামের বাড়িতে যেতে পারিনি, ধর্মাতেই থেকে গেছিলাম। সোমবার সকালে আমার প্রতিবেশীরা খবর দেন যে আমার বাড়ির একটা অংশ লন্ডভন্ড করে দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়েই আমি ছুটে যাই। গিয়ে দেখি ঘরের ওপরের অংশের বাঁশের চালা ভেঙে দুস্কৃতিরা ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেছিল এবং কিছু জিনিস পত্র ভাঙচুর করার পর দলের পত্র পত্রিকা, নেতৃত্বের ছবি ইত্যাদি নষ্ট করা হয়েছে।’ ঘটনাটিকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের আক্রোশ বলেই মনে করছেন সোমা গোস্বামী।
তিনি বলেছেন, খড়গপুর গ্রামীন বিধানসভার অন্যান্য অংশের মতই এই এলাকাতেও মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন শাসকদল ও অন্য প্রতিপক্ষ দলগুলি। পরিবর্তে সাড়া মিলছে বামপন্থীদের মিছিল মিটিং প্রচারে। মানুষের আস্থা ফের ফিরে পাচ্ছি আমরা। খড়গপুর গ্রামীনের তরুণ প্রার্থী সাদ্দাম আলির জনপ্রিয়তায় যারা হতাশ তারাই এই কাজ করেছে বলেই মনে করছি। তিনি আরও বলেন, দুটি ঘরে তালা দেওয়া থাকায় ঘর দুটিতে অবশ্য কিছু করতে পারেনি অথবা এমনও হতে পারে শুধুই রাজনৈতিক প্রচারকর্মেই ব্যাঘাত ঘটে সেই উদ্দেশ্য নিয়েই এসব করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সন্ধ্যা অবধি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি।