নিজস্ব সংবাদদাতা : বৃহস্পতিবার ভোরের বসন্তে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি দেখল খড়গপুর, মেদিনীপুর। সেই বৃষ্টি কাটিয়ে সকালের রোদের খানিক রোদ পোহানোর পর ফের মেঘে ঢাকতে শুরু করেছে দুই শহরের আকাশ। বইতে শুরু করেছে এলোমেলো বাতাসও। আর সেটাই বলে দিচ্ছে বিকেল নাগাদ আজ ঝড়ো হাওয়ার সাথে অকাল কাল বৈশাখীর সম্ভাবনা। ফলে কর্মক্ষেত্রে যাওয়া মানুষ থেকে স্কুল কলেজের পড়ুয়াদের প্রতি সাবধানবানী, দিনের প্রথমার্ধ্বে এই বৃষ্টি চলবে আর কোনও ভাবেই ভেজা চলবেনা এই বৃষ্টিতে। ভিজলে শরীর খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং পূবালি হাওয়ার দুই বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের জেরে সপ্তাহের প্রথম দিকে যে পরপর বৃষ্টি হবে, সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল হাওয়া অফিস। তা সত্যি করেই মঙ্গলবার বিকেল থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। টানা বৃষ্টি চলে প্রায় রাত পর্যন্ত। কয়েকটি জেলায় শিলাবৃষ্টিও হয়। বুধবার দিনভর বর্ষণে বিরতি থাকলেও, বৃহস্পতিবার ভোরে ফের বৃষ্টি। এদিন সকাল থেকেই ফের ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির খবর মিলেছে কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়াতে। আগামী কয়েকঘণ্টা চলবে এই বৃষ্টি, জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। এর জেরে দিনের বেলার পারদ নেমেছে কিছুটা।
হাওয়া অফিসের আরও পূর্বাভাস, বিকেলের দিকে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় কালবৈশাখী ধেয়ে আসতে পারে। হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। সেইসঙ্গে প্রবল হাওয়া বইবে। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির জেরে ফাল্গুনের শেষার্ধ্বে তাপমাত্রার পারদ তেমন না চড়ায় বেশ আরামদায়ক আবহাওয়াই উপভোগ করছেন বঙ্গবাসী।
তবে এরই সাথে রয়েছে চিকিৎসকদের সাবধানবানী, এই আবহাওয়ায় রোগ-জীবাণু সংক্রমণের পক্ষে একেবারেই আদর্শ। তাই প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বৃষ্টিতে ভেজা অথবা ঠান্ডা লাগানো চলবে না।
মনে রাখতে হবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাস নিয়ে সতর্ক করেছে। শীতল আবহাওয়ায় নোভেল করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ সক্রিয় থাকে। তাই কোনওভাবে ঠান্ডা লাগলে, সেই জীবাণু প্রবেশের রাস্তা আরও সুগম হবে।
অন্যদিকে, বসন্তের এই অকাল বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকদের। এমনিতেই শিলাবৃষ্টি ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কয়েক জায়গায় ধানের চারা ও আলুর ক্ষতি করেছে। নতুন করে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় চাষিদের মধ্যে আশংকা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।