নিউজ ডেস্ক: গত মাসে কলকাতা পুলিশ বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক এবং হুগলি জেলার পর্যবেক্ষক পামেলা গোস্বামীকে নিউ আলিপুর থেকে ১০ লক্ষ টাকার কোকেন সমেত গ্রেফতার করে। এবার কলকাতা পুলিশ মাদক-কাণ্ডে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল। ধৃত দু’জন মাদক কারবারী বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের দাবী, তাঁদের কাছ থেকেই ঘুরপথে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহেরর কাছে মাদক পৌঁছাত। ধৃতদের কাছ থেকে ১০ গ্রাম কোকেনও উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার সুইটি সিং নামের এক তরুণীকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবই, মাদক কারবারীদের কাছ থেকে তা রাকেশের কাছে পৌঁছে দিতেন সুইটি। জেরায় সে কথা কবুলও করেছে সুইটি। তাঁর কাছ থেকেই আরও দু’জনের নাম উঠে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, “ধৃত দু’ জনের নাম ফারহান আহমেদ এবং দইম আখতার। প্রথমে দইমের কাছ থেকে মাদক যেত ফারহানের কাছে। সেখান থেকে কিনতেন সুইটি। তার পর রাকেশের কাছে তা পৌঁছে দিতেন।” অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার সময় ফারহানের কাছ থেকে প্যাকেটবন্দি ১০ গ্রাম কোকেনও উদ্ধার হয়েছে। তবে নিজের বয়ানে পামেলা গোস্বামীর দাবীতেই সুইটি সায় দিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গতমাসে মাদকচক্রে বিজেপি যুব মোর্চা নেত্রী পামেলা গোস্বামী ও বিজেপি নেতা বলে পরিচিত প্রবীর দে, যার সাথে পামেলার ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা যায়, তাদের গ্রেপ্তার করে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ। এরপরেই কোর্ট লকআপে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে পামেলা বলেন, কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঘনিষ্ঠ রাকেশ সিং গোটা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন। রাকেশ ফাঁসিয়েছেন পামেলাকে। তবে ঘটনায় মুখ খোলেন রাকেশ সিং। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পামেলাকে দিয়ে বলানো হচ্ছে এসব কথা। তৃণমূল কংগ্রেস কলকাতা পুলিশকে দিয়ে এই সব কাজ করাচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মদত রয়েছে গোটা ঘটনায়। কিন্তু ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাকেশ সিংকে দেখা করতে বলে সমন পাঠায় কলকাতা পুলিশ। তবে রাকেশ জবাবে জানান তিনি দিল্লী যাওয়ার কারণে দিনকয়েক পরে হাজিরা দিতে পারবেন। ওদিকে কলকাতা পুলিশের তলবি নোটিশে স্থগিতাদেশ চেয়ে করা মামলাতেও ধাক্কা খান রাকেশ। স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর শেষমেষ গলসির হাইওয়ে থেকে রাকেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় রাকেশ-ঘনিষ্ঠ জিতেন্দ্রকুমার সিংহকেও। পরবর্তীকালে কলকাতা পুলিশ একে একে সূরজ কুমার শাহ, সুইটি, ফারহান, এবং দইমের নাগাল পায়।