নিজস্ব সংবাদদাতা: দিলীপ ঘোষ নাকি দেবাশিস চৌধুরী ওরফে মুনমুন? এই দুই ভাবনায় খড়গপুর শহরকে বাদ দিয়েই প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি কারন খেলা এখানেও হবে। ঠিকই হয়ে গিয়েছিল দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করে মর্যাদার এই আসন লড়বে বিজেপি কিন্তু তৃণমূলে খোদ মুনমুন চৌধুরীর বিদ্রোহ বিজেপিকে ভাবার জন্য আরও কয়েকঘন্টা সময় দিয়েছে। সব ঠিকঠাক হলে মুনমুনকেই প্রার্থী করে খড়গপুর শহরে লড়াইয়ে যেতে পারে বিজেপি নচেৎ আসতে পারেন দিলীপ ঘোষ। আজ রাতেই মুনমুন চৌধুরীর কাছ থেকে চূড়ান্ত মতামত জেনে যাবে বিজেপি আর তারপরেই কাল ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রীর সভা থেকেই ঘোষণা হতে পারে খড়গপুর শহরের বিজেপি প্রার্থীর নাম।
নির্বাচন কমিশনের নির্ঘন্ট অনুযায়ী প্রথম দফায় পুরুলিয়ার ৯ টি, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৬ টি, বাঁকুড়ার ৪ টি, পূর্ব মেদিনীপুরের ৭ এবং ঝাড়গ্রামের ৪ টি আসনে ভোটগ্রহণ হতে চলেছে। দ্বিতীয় দফায় বাঁকুড়ার ৬, পূর্ব মেদিনীপুরের ৯, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৯ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৪ আসনে ভোট হবে। সেই মত শনিবার একুশের যুদ্ধে এই ৫৭টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি বাদ রয়েছে খালি খড়গপুর সদর।
এই লড়াইয়ে অবশ্যই সর্বোচ্চ মর্যাদার লড়াই হতে চলেছে নন্দীগ্রামে। যেখানে ৫০হাজার ভোটে হারানো অথবা রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার তাঁর নাম ঘোষণা করল বিজেপি। সারা রাজ্য শুধু নয় সারা দেশ তাকিয়ে আছে এই কেন্দ্রের দিকে। সিপিএমের মানিনী ভট্টাচার্যর কাছে পরাজিত হওয়ার পর সম্ভবত এই প্রথম কঠিন প্রতিদ্বন্দিতার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে।
ডেবরায় লড়াই হচ্ছে দুই প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিকের মধ্যে। প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবিরকে প্রার্থী করেছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। পালটা আরেক প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষকে প্রার্থী করল বিজেপি। এখানে বহু আগে থেকেই হোমওয়ার্ক শুরু করেছেন ভারতী। সদ্য মাঠে নেমে ঝড় তুলেছেন হুমায়ুন। এখানে তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে তৃনমূলের। প্রাক্তন বিধায়ক সেলিমা যেমন আসন পাননি তেমনি মাত্র তিনদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তৃনমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রতন দে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পাশাপাশি জ্বলন্ত ইস্যু হল গত ১০বছর ধরে লোয়াদা সেতুর সংযোগকারী রাস্তা তৈরি না করার ব্যর্থতা।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সর্বাপেক্ষা মর্যাদার লড়াই হতে চলেছে সবং বিধানসভা কেন্দ্রে যেখানে লড়াই হতে চলেছে সবংয়ের দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী অমূল্য মাইতি এবং মানস ভূঁইয়ার মধ্যে। দুজনেই এক সময় একসঙ্গে কংগ্রেস করেছেন, একসঙ্গে তৃনমূলও। কিন্তু দলের মধ্যেই চির বৈরিতা বহমান ছিল। অবশেষে জানুয়ারি মাসে বিজেপিতে চলে আসেন অমূল্য মাইতি। সেই মাইতিকেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। অন্যদিকে গতকালই মানস ভূঁইয়াকে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন মমতা ব্যানার্জী। ভূঁইয়ার প্লাস পয়েন্ট দীর্ঘদিনের বিধায়ক পদে থাকা আর মাইতির প্লাস পয়েন্ট ভূঁইয়া ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ। মাইতির প্লাস পয়েন্ট পুরানো তৃনমূলের ৮০ভাগেরও বেশি তাঁর সঙ্গে আর ভূঁইয়ার প্লাস পয়েন্ট হতে পারে সিপিএম যদি নিজের ভোট নিজের ঘরে ধরে রাখতে পারে।
এবার দেখে নিন ৫৭ আসনে বিজেপির প্রার্থী তালিকা: নন্দীগ্রাম থেকে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী।পটাশপুর থেকে অম্বুজাক্ষ মোহান্তি।কাঁথি উত্তর থেকে সুনীতা সিংহ।
কাঁথি দক্ষিণ থেকে অরূপকুমার দাস।দাঁতন থেকে শক্তিপদ নায়েক। গোপীবল্লভপুর থেকে সঞ্জীব মাহাতো
বিনপুর থেকে পালন সোরেন,বলরামপুর থেকে বনেশ্বর মাহাতো,জয়পুর থেকে নরহরি মাহাতো,পুরুলিয়া থেকে সুদীপ মুখোপাধ্যায়,ছাতনা থেকে সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়
তমলুক থেকে বিজেপি প্রার্থী হরেকৃষ্ণ বেরা। ময়না থেকে বিজেপি প্রার্থী অশোক ডিন্ডা। নন্দকুমার থেকে বিজেপি প্রার্থী নীলাঞ্জন অধিকারী।হলদিয়া থেকে বিজেপি প্রার্থী তাপসী মণ্ডল। সবং থেকে বিজেপি প্রার্থী অমূল্য মাইতি।
ডেবরা থেকে বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ।দাসপুর থেকে বিজেপি প্রার্থী প্রসন্ন বেরা। তালডাংরা থেকে বিজেপি প্রার্থী শ্যামলকুমার সরকার। বিষ্ণপুর থেকে বিজেপি প্রার্থী তন্ময় ঘোষ। ইন্দাস থেকে বিজেপি প্রার্থী নির্মল ধাড়া। গড়বেতা থেকে বিজেপি প্রার্থী মদন রুইদাস। শালবনি থেকে বিজেপি প্রার্থী রাজীব কুণ্ডু। কেশিয়াড়ি থেকে বিজেপি প্রার্থী সোনালি মুর্ম। খড়গপুর থেকে বিজেপি প্রার্থী তপন ভুঁইয়া।
‘গোপীবল্লভপুর থেকে বিজেপি প্রার্থী সঞ্জিৎ মাহাতো। ঝাড়গ্রাম থেকে বিজেপি প্রার্থী সুখময় শতপথী। ‘দাঁতন থেকে বিজেপি প্রার্থী শক্তিপদ নায়েক। ‘নয়াগ্রাম থেকে বিজেপি প্রার্থী বকুল মুর্মু।’ মোদিনীপুর থেকে বিজেপি প্রার্থী সমিত দাস। বিনপুর থেকে বিজেপি প্রার্থী পালন সোরেন।’