নিজস্ব সংবাদদাতা: মুকুল রায় আর শুভেন্দু অধিকারী ফোন করেছেন, কথা হয়েছে কিন্তু কী কথা হয়েছে জানা যায়নি। মুকুল আর শুভেন্দুর কাছ থেকে খোলাখুলি আহ্বান, সময় আছে, চলে আয়। মুনমুন চৌধুরী কিছু বলেননি, বললেও তাঁর অনুগামীদের জানাননি। মুুনমুন অনুগামীদের শুধু বলেছেন, ” যা করেছি, তোদের সঙ্গে আলোচনা করে করেছি। যদি ব্রিগেড যাই, তোদের সঙ্গে কথা বলেই যাব, তোদের নিয়েই যাব।” শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় অনুগামীদের নিয়েই সংগোপন বৈঠক করছেন খড়গপুর শহর তৃনমূলের নেতা মুনমুন ওরফে দেবাশিস চৌধুরী। সেখানেই দুধ কা দুধ, পানি কা পানি।
শুক্রবারই প্রার্থী ঘোষণার পরই মুনমুন তাঁর ফেসবুকে লিখেছিলেন, “বিশ্বাসে বারবার আঘাত করা উচিৎ নয়!” কী সেই বিশ্বাস? মুনমুন জানিয়েছেন, “রাজনীতিতে মানুষের একটা প্রত্যাশা থাকে। ২০১১, ২০১৬, ২০১৯ (উপনির্বাচন)আমি দেখেছি, মেনে নিয়েছি। নেত্রী নিজে কথা দিয়েছিলেন ২০২১য়ে তিনি দেখবেন। তারপর আর কী থাকতে পারে?”
শুক্রবার রাতেই অভিষেক ব্যানার্জী, সুব্রত বক্সীকে দলের সাধারণ সম্পাদক আর মুখপত্র পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। এও জানিয়ে দিয়েছেন যে পশ্চিম মেদিনীপুর বা ঝাড়গ্রামের যে অতিরিক্ত দায়িত্ব তাঁকে দল দিয়েছিল তার কোনোটাই তাঁর পক্ষে পালন করা সম্ভব হচ্ছেনা।
এদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছয়লাপ। কাল ব্রিগেডের ময়দানে প্রধানমন্ত্রীর সভায় মুনমুন চৌধুরীকে চাইছে খড়গপুর বিজেপির বড় একটা অংশ, যারা বলছেন, ‘খেলা হবে, খড়গপুরেই খেলা হবে আর তার ক্যাপ্টেন হবেন মুনমুনদাই। একটি অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে, মুকুল রায়কে মুনমুন বলেছেন, যেহেতু মাতৃবিয়োগ হয়েছে তাঁর। ১০ই ফেব্রুয়ারি পারলৌকিক ক্রিয়া। তিনি ১০ই ফেব্রুয়ারির পরে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন। কিন্তু বিজেপির অনুরোধ, ব্রিগেডে যান মুনমুন, প্ৰয়োজনে মঞ্চে নাইবা থাকলেন, তবুও যদি তাঁকে রেখেই খড়গপুর শহর বিধানসভা কেন্দ্রের নাম ঘোষণা করা যায়।
আর যদি নিতান্তই তিনি ১০তারিখের আগে সিদ্ধান্ত না জানান তবে খড়গপুর বাদ দিয়েই বাকি কেন্দ্রগুলির নাম ঘোষণা হতে পারে। তবে যা হবে তার অনেকটাই পরিস্কার হয়ে যাবে আজ, শনিবার রাত ৯টার মধ্যে। সেরকম হলে গোটা কুড়ি এসইউভি ( টাটাসুমো, বোলেরো জাতীয় গাড়ি) রবিবার ভোরেই খড়গপুর থেকে রওনা দিতে পারে ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে। সব মিলিয়ে খেলা সত্যি সত্যি জমে যাওয়ার পথে খড়গপুরে।