নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব দরবারে ফের উজ্বল হল বাংলার মুখ। আর এই কৃতিত্ব এনে দিল আইআইটি খড়গপুর (IIT Kharagpur)। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ৫০টি সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মধ্যে জায়গা করে নিল এটি। খড়গপুর আইআইটি-এর নাম ৪৪ নম্বরে। উল্লেখ্য গত দু’বছর ধরেই IIT-Kharagpur তার অগ্রগতি বজায় রেখেছে যা এবারেও ব্যতিক্রম হয়নি। ২০১৯ সালে এই র্যাঙ্কিংয়ে IIT খড়গপুর ছিল ৪৭ তম স্থানে যা ২০২০ সালে আরও একধাপ ওপরে উঠে ৪৬তম স্থান হয়। এবার আরও ২ধাপ এগিয়ে সেই স্থান চলে এসেছে ৪৪তম স্থানে।
আইআইটি খড়গপুরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে এই প্রতিষ্ঠান খনিজ এবং খনি প্রযুক্তি (Mineral and Mining Engineerin), পরিবেশ বিজ্ঞান (Environmental Sciences), অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান বিদ্যা ও প্রায়োগিক গবেষণায় (Economics and Econometrics and Statistics and Operational Research) দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে অন্যদিকে কারিগরি ও প্রযুক্তি বিদ্যা (Engineering and Technology), গণনা বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা( Computer Science and Information Systems), সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ ৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে।
বিশ্বের সেরা ৫০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে দেশের আরও দুই ইউনিভার্সিটি; আইআইটি মাদ্রাজ ও আইআইটি বম্বে। আইআইটি বম্বে রয়েছে ৪১ নম্বরে আর আইআইটি মাদ্রাজ রয়েছে ৩০-এর মধ্যে। অর্থাৎ দেশের আইআইটি গুলির মধ্যে সেরা আইআইটি মাদ্রাজ।
এই কলেজের পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামকে সেরা বলে বিবেচনা করা হয়েছে। আইআইটি খড়গপুরের মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামকে সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ৪১ নম্বরে আছে আইআইটি বম্বে, মিনারেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা পেয়েছে আইআইটি বম্বে। দেশের ৫২টি ইনস্টিটিউটের মধ্যে বাছবিছার করে তিনটিকে প্রথম পঞ্চাশে স্থান দেওয়া হয়েছে।
প্রথম একশোয় থাকা ইনস্টিটিউটগুলির মধ্যে ৭৮ নম্বরে আছে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স (আইআইএসসি)। দিল্লি আইআইটি এ বছর দৌড়ে কিছুটা পিছিয়ে ১০০ নম্বরে চলে গিয়েছে। এই ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রশংসা পেয়েছে বিশ্ব দরবারে। সেরা একশোয় আইআইএম-বেঙ্গালুরু ও আইআইএম-আহমেদাবাদও আছে। এই দুই ইনস্টিটিউটের বিজনেস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামকে সেরা হিসেবে বাছা হয়েছে। অন্যদিকে, আন্না ইনিউনিভার্সিটির পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং ও অ্যানথ্রোপলজিকে সেরা একশোয় জায়গা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য প্রতি বছরের মত এ বছরও কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ের তালিকা সামনে এসেছে। ৪ মার্চ এই তালিকা প্রকাশিত হয়। এই তালিকায় প্রথম ১০০টি সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মাঝে নিজের জায়গা করে নিতে জোরালো প্রতিযোগিতাও চলে। প্রথম ৫০টিতে জায়গা পাওয়া মানে ইউনিভার্সিটির নাম ও মান দুইই বেড়ে যাওয়া।
এ বছর সেরা একশোয় দেশের ১২টি ইউনিভার্সিটির নাম উঠে এসেছে কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ইউনিভার্সিটির পরিবেশ, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয়, শিক্ষার মান, পড়ুয়া ও শিক্ষকদের মধ্যে সম্পর্ক, গবেষণার বিষয় ইত্যাদি নানা দিকে খুঁটিনাটি বিচার করা হয়। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয়গুলির মধ্যে কেমিক্যাল, পেট্রোলিয়াম, সিভিল, মেকানিক্যাল ছাড়াও আইন, সাহিত্য ইত্যাদি নানা সাবজেক্ট নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে তবে সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বেছে নেওয়া হয়। এ বছর সেরা সাবজেক্ট ও সেই সাবজেক্টে গবেষণার মান, চাকরির সুযোগ ইত্যাদি দেখেই ইউনিভার্সিটির র্যাঙ্কিং করা হয়েছে।