Homeএখন খবর১১টাতেই কানায় কানায় ভর্তি ব্রিগেড! যৌবনের জোয়ারে ভেসে গেল কলকাতা, বিসর্জনের ঢাক...

১১টাতেই কানায় কানায় ভর্তি ব্রিগেড! যৌবনের জোয়ারে ভেসে গেল কলকাতা, বিসর্জনের ঢাক বাজিয়ে মিছিলে তরুণীর দল, টিআরপি বাড়াতে মিডিয়া ঝাঁপিয়ে পড়ল কভারে

অনির্বান ইসলাম; ব্রিগেড; কলকাতা: “৭%য়ের দলকে যে মিডিয়ার মাথা ব্যথা নেই, যে মিডিয়া মোদি কিংবা দিদির বাইরে আর কিছুই দেখতে পায়না। বামপন্থী দের গত ব্রিগেডকে যারা কার্যত বয়কট করেছিল সেই মেইনস্ট্রিম মিডিয়াকে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা গেল কলকাতার অলিগলি থেকে ভিক্টোরিয়ার সামনে ব্রিগেডের ময়দানে। কারন একটাই টিআরপি বাড়াতে হবে আর ভোটের আগে ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ অর্জন করতে হবে। আসলে মিডিয়া মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। সেই টুম্পার গানেই বলতে হয়, ‘দিদি-মোদি’ এক গোয়ালের কিন্ত মিডিয়া তাঁদের কেনা।” এন.বি.এ বুকস্টলের কাছে দাঁড়িয়ে কথা গুলো বলছিলেন নদিয়ার নাকাশিপাড়া থেকে আসা ডিওয়াইএফআই কর্মীটি।

বেলা ১১টা, ব্রিগেড তখন কানায় কানায় ভর্তি কিন্তু তাতে কী? লোক আসছে পঙ্গপালের মত, আসছে শিয়ালদহ, হাওড়া হয়ে ট্রেনে আর দ্বিতীয় হুগলি সেতু, বিবেকানন্দ সেতু, মাঝেরহাট সেতু হয়ে। আসছে যশোররোড, বিটিরোড, ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে। কোনা এক্সপ্রেস হাইওয়ে, ইস্ট্রানবাইপাশ কিংবা সেন্ট্রাল এভিনিউ, লেনিনসরনী সবপথই ব্রিগেডমুখি। কোথাও কোথাও জেলায় মিছিল আটকানোর চেষ্টায় হামলা হয়েছে কিন্তু প্রতিক্রিয়া সামাল দিতে পারেনি হামলাককরীরা। পাল্টা মারে পিছু হটতে হয়েছে। যেমনটা হয়েছে সিঙ্গুরে।

এবার ব্রিগেডে নজর কেড়েছে যৌবন আরও নজর কেড়েছে তরুণী আর যুবতীদের ভিড়। শাড়ি সালোয়ার তো আছেই কিন্তু নজরে পড়েছে জিনস, টি-শার্ট আর পায়ে ওয়াকিং স্যু। অনেক দুর হাঁটার প্রস্তুতি নিয়েই দুর দূর জেলা থেকে আসছেন ওই তরুণীর দল। একদল মহিলা এসেছেন ঢাক নিয়ে। ‘বিসর্জনের বাজনা বাজাতে বাজাতে। তাঁদেরই একজন জানালেন, ‘অনেক সহ্য করেছি আর নয়, ২১শের লড়াই মোদি-দিদিকে হারানোর লড়াই আর ডেলোর ডায়রি ওপেন করার লড়াই। এসএসসি, প্রাথমিক, পিএসসি বন্ধ। চাকরি নেই, কর্মসংস্থান নেই আছে শুধু পিসি আর ভাইপোর কমানোর রাজ। আছে করোনার চাল চুরি আর আমফানের টাকা চুরি। কয়লা আর গরু পাচারের কারবারিদের এবার ক্ষমতাচ্যুত করতেই হবে। আজ ব্রিগেডে এসেছি সেই ঢাক বাজাতে। এই ঢাক এবার পাড়ায় পাড়ায় বাজুক।”শনিবারই বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, রবিবার ব্রিগেড শুধু সংগঠিতভাবে সাত লাখ মানুষ আসবেন। যা ছাপিয়ে যাবে ক্রুশ্চেভ-বুলগানিন-নেহেরুর ব্রিগেড সমাবেশকেও। ভিড়ের নিরিখে এবারের ব্রিগেড ইতিহাস তৈরি করবে বলে আশা বাম নেতাদের। রবিবার সকাল ১১টাতেই সেই প্রত্যাশা ছাপিয়ে গেছে অসংগঠিত জন প্লাবনেই। তখনও দুই ২৪ পরগনা আর হাওড়া মিলিয়ে তিন লাখি মানুষ রাস্তায়। রাস্তায় কলকাতা আর হুগলির অর্ধেক।
সভায় শুরুতে যখন অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী, শ্রীলেখা মিত্ররা কথামুখ করছেন তখনও কাতারে কাতারে মানুষ আসছেন হয়ত এদের অর্ধেকই ব্রিগেড পৌঁছাতে পারবেননা।

এদিন ব্রিগেডে প্রথম থাকছেননা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শনিবারই নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে থাকতে না পারার আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে এই প্রথম কংগ্রেসের সঙ্গে ব্রিগেড সমাবেশের আয়োজন করেছে বামপন্থীরা। অন্যদিকে এই সমাবেশে যুক্ত হয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট।

RELATED ARTICLES

Most Popular