নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ি যেন দিন দিন অপরাধের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হয়ে যাচ্ছে! মাদক পাচার, বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচার,ছিনতাই খুন,এটিএম লুট একের পর এক দুষ্কর্মের খবর মিলছে প্রতিনিয়ত। আর একের পর এক এই ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতা আর আতঙ্কের শহর হয়ে উঠছে শিলিগুড়ি। বৃহস্পতিবার সকালেই প্রধান নগর থানা থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলার ক্ষত বিক্ষত দেহ। আর ওই দিন রাতেই আশিঘর ফাঁড়ির অন্তর্গত ঘোগোমালি এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম লুটের চেষ্টা চালাল দুষ্কৃতিরা!
সূত্র মারফৎ জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ঘোগোমালির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা করে দুষ্কৃতিরা।তবে তারা সফল হয়নি।ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে একজন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে আটক করেছে।গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
এর আগে ১২ জানুয়ারি রাতে কোর্ট মোড়ের কাছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে এটিএম লুটের চেষ্টা হয়। হামলা হয় নিরাপত্তারক্ষীর উপরেও। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পেলেও দুষ্কৃতীর খোঁজ করতে পারছিলেন না পুলিশ আধিকারিকেরা। ১৬ জানুয়ারি রাতে রামকৃষ্ণ চকে জোড়া ব্যাঙ্ক লুটের চেষ্টা হয়। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ভল্ট কাটলেও টাকা নিতে পারেনি দুষ্কৃতীরা।২৫ জানুয়ারি রাতে ফের দেশবন্ধুপাড়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের একটি এটিএম কাউন্টারে লুটের চেষ্টা হয়।সেসময় পুলিশ দুজনকে হাতেনাতে ধরে। তারমধ্যে একজন সেনা জওয়ান ছিল।ওই জওয়ান ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ল্যান্সনায়েক পদে কর্মরত ছিল।তার কর্মস্থল ছিল সিকিম। বেশ কিছুদিনের বিরতির পর ফের এটিএম লুটের চেষ্টা দুষ্কৃতিদের।নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল শিলিগুড়ি শহর জুড়ে যে পরিমান সিসিটিভি লাগানো দরকার সেই পরিমান সিসিটিভি লাগানোর মত তহবিল পুলিশের নেই। পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল পুলিশকে কিছুটা সহযোগিতা করার জন্য। যদিও তাতে খুব বেশি সাড়া মিলেছে বলে মনে হচ্ছেনা। ফলে নৈশ অপরাধের ক্ষেত্রে পোয়া বারো অপরাধীদের অবাধ বিচরণ স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে শিলিগুড়ি।