নিজস্ব সংবাদদাতা: ছ থেকে সাত ঘণ্টা অবধি প্রশিক্ষণ কিন্তু খাবারের বন্দোবস্ত যেমন তেমন। কোনও জেলায় শুধু চা, কোথাও টিফিন, কোথাও ভাগ্য ভালো থাকলে জুটে যায় লাঞ্চ। একমাত্র ভোটের প্রশিক্ষণ ছাড়া কোথাও এমন অসন্মান জনক অসঙ্গতি বোধহয় দেখা মেলেনা।
ভোট কর্মীরা উদাহরণ দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশিক্ষণের সময় লাঞ্চের ব্যবস্থা করে অথচ অনেক জেলায় দীর্ঘসময়ের এই ট্রেনিংয়ে চা-বিস্কুট ছাড়া কোন কিছুর ব্যবস্থা নেই। প্রশ্ন উঠেছিল একই নির্বাচন কমিশনের অধীনে একই বিষয়ে ট্রেনিং-এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন ব্যবস্থা কেন? বরাদ্দ অর্থ যাচ্ছে কোথায়? কেন এই দ্বিচারিতা? তার উত্তর দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সেই দাবি মেনে নিল কমিশন। সোমবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নোটিফিকেশন জারি করে বলা হয়েছে সমস্ত ভোট কর্মী ট্রেনিং-এর সময় ১৭০ টাকার লাঞ্চ পাবেন
শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী জানিয়েছেন, ‘ওই চূড়ান্ত অমানবিক এবং অসঙ্গতিপূর্ণ ব্যবস্থা ছাড়াও আরও কয়েকটি বৈষম্য মূলক ব্যবস্থার প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব, অ্যাডিশনাল সিইও সঞ্জয় বসু, ডেপুটি সিইও বুলান ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপ এবং কমিশনের নিজস্ব মেলে প্রতিবাদ পত্র পাঠাই।”
অধিকারী বলেন, “এরই পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ট্রেনিং সেন্টার গুলিতে ভোট কর্মীদের প্রতিবাদ ও ডেপুটেশন চলে। সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই অসঙ্গতির বিরুদ্ধে আমাদের তীব্র প্রতিবাদ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এই সম্মিলিত প্রতিবাদের ফলে নির্বাচন কমিশন বাধ্য হয়েছে শেষ পর্যন্ত আমাদের দাবি মানতে। । দাবি মেনে নেওয়ায় নির্বাচন কমিশনকে আমরা অভিনন্দন জানাই। এছাড়া অন্যান্য অসঙ্গতি গুলি দূর করার দাবিতে জারি থাকবে আমাদের প্রতিবাদ আন্দোলন।”
রাজ্য সম্পাদক জানিয়েছেন, অন্য রাজ্যে ভোটের পরের দিন সমস্ত ভোট কর্মীর জন্য অন ডিউটির ব্যবস্থা থাকলেও আমাদের রাজ্যে নেই কেন, সম্মানজনক রেমুনারেশন বৃদ্ধি সহ অন্যান্য দাবিতে আমাদের আন্দোলন জারি থাকছে। আবার প্রমান হল সম্মিলিত প্রতিবাদ দাবি আদায়ের একমাত্র পথ। সমস্ত ভোট কর্মী একত্রিত হয়ে যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সেকারনে সকল ভোটকর্মীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।