নিজস্ব সংবাদদাতা: এখনও প্রার্থীই ঠিক করতে পারেনি শাসক তৃণমূল বা বিরোধী বিজেপি তারই মধ্যে খড়গপুর সদর তথা শহর বিধানসভা ক্ষেত্রের দিন ঘোষনা করে দিল ভারতের নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৫ নভেম্বর অর্থাৎ ঠিক এক মাসের মাথায় দেশের যে চারটি বিধানসভা ক্ষেত্রের উপ নির্বাচন হতে চলেছে তার মধ্যেই রয়েছে খড়গপুর। বাকি তিনটির ২টি ও পশ্চিমবাংলায়। এগুলি হল করিমপুর ও কালিয়াগঞ্জ। অন্যটি উত্তরাখণ্ডের পিথোরগড়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শুক্রবার এই ঘোষনা করে কমিশন যে নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছেন সেই অনুযায়ী আগামী ৩০অক্টোবর গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। বিজ্ঞপ্তির পরেই মনোনয়ন জমা দিতে পারা যাবে। নভেম্বরের ৬তারিখের মধ্যেই মনোনয়ন পত্র জমা দিতে হবে। ৭ তারিখ খুঁটিয়ে দেখা হবে। ১১নভেম্বরের মধ্যে কেউ চাইলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পরে। ২৫তারিখ ভোটের পর ২৮তারিখ ভোট গণনা ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যদিও খড়গপুর সদর ক্ষেত্রের প্রার্থী নির্বাচন করাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ শাসক ও বিরোধী উভয় দলের কাছে। আড়াই বছর আগে কংগ্রেসের অভ্যন্তরের দ্বন্দ্বে চাচা জ্ঞান সিং সোহন পালকে ৫০০০ভোটে হারিয়ে জিতেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আবার মাত্র কয়েকমাস আগের লোকসভা নির্বাচনে জিতে ঘোষই সাংসদ। ফলে খড়গপুর সদর বিধানসভা আসনটি শুন্য হয়। সেই আসনে এবার তৃণমূল আর বিজেপি কাকে দাঁড় করাবে এটা ভাবতে হচ্ছে দু’দলকেই।তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়েরই প্রধান সমস্যা হল একাধিক প্রার্থীর দাবিদার। একজনকে দাঁড় করালে অন্য গোষ্ঠীর অন্তর্ঘাত একেবারে বলে বলে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে দেবাশিস চৌধুরী, প্রদীপ সরকার, নির্মল ঘোষ তেমনই বিজেপির প্রার্থীর দাবিদার প্রেমচাঁদ ঝা, তুষার মুখার্জী , শমিত দাসরা। হাল ফ্যাশানের খেলার মত বাইরে থেকে প্লেয়ার উড়িয়ে এনে খেলানো হয় কিনা সেটাও দেখার। এক্ষেত্রে বরং সুবিধাজনক আবস্থানে কংগ্রেস-বাম জোট। এঁদের প্রার্থী প্রাক্তন উপ পুরপিতা চিত্তরঞ্জন মন্ডল প্রায় নিশ্চিত।যদিও গত বিধানসভায় লড়াই হয়েছিল বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে। বামেরা তৃতীয় ও তৃণমূল চতুর্থ স্থানে চলে গেছিল এবার অবশ্য লড়াই বিজেপি বনাম তৃণমূলেরই হওয়ার সম্ভবনা। কারন সদ্য হয়ে যাওয়া লোকসভার নিরিখে বাম ও কংগ্রেস উভয় দলই তাদের ভোট হারিয়েছে।