নিজস্ব সংবাদদাতা: বিকাল থেকে বৃষ্টি ধরলেও মেঘ টইটুম্বুর ছিল আকাশ। আর সোনার দামও ছিল আকাশ ছোঁয়া কিন্ত ধন তেরাসের খড়গপুর মানলনা সেসব কিছুই। খড়গপুর গোলবাজারের মসলিন চক থেকে ভান্ডারি চকের ৩০০মিটার রাস্তা জুড়ে অচল হয়ে গেল যান চলাচল। ভিড়ে ঠাসা ওই রাস্তায় ট্রাফিক সামাল দিতে হিমসিম খেতে হল পুলিশকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যানজট সামলাতে দলবল নিয়েই রাস্তায় নামতে হল স্থানীয় কাউন্সিলর ও ব্যবসায়ীদের একাংশকে।শুক্রবার ধন ত্রয়োদশী বা ধন তেরাস । গহনার সোনার দাম প্রতি দশগ্রাম ৩৬, ৯৩০ ও হলমার্ক সোনার দাম ছিল ৩৭, ৪৮৫টাকা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অন্যদিকে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় বৃষ্টি থামলেও পুরোপুরি মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। হিমেল হাওয়ায় শিরশিরে অনুভূতি তারই মধ্যে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা অবধি ভিড়ে ঠাসা খড়গপুর গোলবাজার।
না, শুধুই গোলবাজার নয়, গেট বাজার , খরিদা , মালঞ্চ , কৌশল্যা যেখানে যত ছোটবড় সোনার দোকান উপচে পড়েছে ভিড়। তবে গোলবাজারের ভান্ডারি চক থেকে মসলিন মোড়ের অবস্থাই ছিল চাক্কা জ্যাম কারন গোটা আটেক গহনার দোকান ওখানেই। প্রতিটা দোকান উপচে ভিড় নেমেছে রাস্তায়। যেমন করে হোক একটু সোনা কিংবা রূপা কেনা চাই।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অবস্থা এতটাই বেগতিক যে ট্রাফিক সামলানো মুশকিল। আর ভিড়ের মধ্যে সাইকেল বাইক চারচাকা ঢুকে দমবন্ধ অবস্থা। ডজন খানেক পুলিশ কর্মীর অবস্থা সঙ্গিন দেখে সাঙ্গপাঙ্গ সমেত ট্রাফিক সামাল দিতে নেমে পড়েছেন কাউন্সিলর জগদম্বা প্রসাদ । নেমে এসে হাতে হাতে ভিড় সামলালেন ব্যবসায়ীরা।
সোনা রূপা কেনার পর আবার হিড়িক উঠেছে ঝাড়ু কেনার। রাত পোহালেই ভুত চতুর্দশী। বাড়িতে ঝাড়ু থাকলেও নাকি কিনতে হবে ঝাড়ু। কেউ কেউ আবার জোড়া ঝাড়ু কিনে চললেন বাড়ি। রাত ৯টার পর একটু একটু করে ভিড় পাতলা হতে শুরু করল। ততক্ষনে বাজার থেকে সোনার সাথে উধাও ঝাড়ুও।