নিজস্ব সংবাদদাতা: ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য সুখবর! মার্চ মাসেই তাঁদের জন্য করোনার ভ্যাকসিনের বন্দোবস্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার কলকাতায় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ বা ICMR পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তরে এসে এমনটাই জানালেনকেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হর্ষবর্ধন (Harsh Vardhan)। বর্ধন জানান, মার্চ থেকে টিকাকরণের তৃতীয় দফা শুরু হবে। আর এবার দেশের ৫০ বছরের বেশনি বয়সী মানুষদের টিকাকরণ হবে।
চলতি বাজেটে (Union Budget) টিকাকরণ কর্মসূচির জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকার এই সংস্থান রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে বাজেট বাড়ানো হতে পারে। মার্চ মাসে সারা দেশে প্রায় ২৭ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হতে পারে। ৫০ বছরের বেশি বয়সী ছাড়াও এক বা একাধিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও টিকাকরণ হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
উল্লেখ্য নতুন বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সরকারের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, প্রথম দফায় দেশের স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, সাফাইকর্মী ও কোভিড যোদ্ধাদের টিকাকরণ হবে। তার পর দেশের বয়স্ক ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে। টিকাকরণ কর্মসূচি তাই সেভাবেই এগোচ্ছে। এদিকে, টিকা নেওয়ার পর সারা দেশে মোট ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের মৃত্যুর জন্য করোনার টিকা কোনওভাবেই দায়ি নয়। যে দুটি ভ্যাকসিনের এর ব্যবহারিক প্রয়োগের অনুমতি দেয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার, সেগুলি সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রথম দফায় এক কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এরপর প্রথম শ্রেণীর কর্মী বা ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার যেমন পুলিশ, সাংবাদিক ইত্যাদিদের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হবে কয়েকদিনের মধ্যে। সামনের মাসে তৃতীয় দফার টিকাকরণ কর্মসূচি কবে থেকে শুরু হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও তারিখ ঘোষণা করেনি কেন্দ্র। তবে মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে দেশের পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।
তবে এখুনি খোলা বাজারে ভ্যাকসিন পাওয়ার কোনও সম্ভবনা নেইবলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, যখন যেমনটা দরকার হবে সেই ভাবে নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এদিন ICMR কলকাতা দপ্তরের গবেষকদের সঙ্গেও মতামত আদান প্রদান করেন হর্ষবর্ধন। রাজনৈতিক ভাবে এদিন তৃনমূল কংগ্রেসকে বিঁধেছেন প্রবীণ এই বিজেপি নেতা। বলেছেন, ‘১৯৯৩ সাল থেকে রাজনীতি করছি। কোনও দিন কোনও কারণে মিথ্যা কথা বলিনি। যাচাই করে দেখুন রাজ্যের অবস্থা। বিজেপি নেতারা নয়, সাধারণ মানুষই বলছে যে পরিবর্তন আসছে।’