নিউজ ডেস্ক: একটা জয় ছিনিয়েই নিল কৃষকেরা। অনুমতি মিলল ট্রাক্টর মিছিলের। যদিও অনুমতি না মিললে কৃষকরা অনড় ছিল। সেই জেদের মুখেই হয়ত বাধ্য হল পুলিশ। দিল্লি পুলিশ এবং কৃষক সংগঠনের মধ্যে বেশ কয়েকদিন বৈঠকের পরে এই ট্রাক্টর মিছিলের সম্মতি দেয় পুলিশ। পাশাপাশি দিল্লি পুলিশ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে এই ট্রাক্টর মিছিলের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। তবে এই মিছিলে সন্ত্রাসী হামলার শঙ্কা প্রকাশ দিল্লি পুলিশের।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সিপি ইন্টিলিজেন্স দীপেন্দ্র পাঠকের মতে, কয়েক দফা কৃষকদের সংগঠনের সাথে বৈঠকের পর ট্রাক্টর মিছিলের রোড ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। এই ট্র্যাক্টর মিছিল দিল্লির সিংঘু সীমান্ত, টিকরী সীমান্ত এবং গাজীপুর সীমান্ত থেকে রওনা হবে। আলোচনা অনুযায়ী মিছিলের রুটটি এইরকম হবে ….
সিংঘু সীমান্ত– সিংঘু সীমান্ত থেকে মুকারবা চৌক, মুকারবা চৌক থেকে শাহবাদ ডেরি হয়ে বাওয়ানা এবং তারপর কাঁঞ্ছাওয়ালা হয়ে ওচন্ডী সীমান্ত পৌঁছাবে, তবে তার আগে খারখোদা টোল প্লাজা।টিকরী সীমান্ত – টিকরী সীমান্ত থেকে ট্রাক্টর মিছিল নাগলই, নাজফগড়, ঝারৌদার হয়ে কেএমপিতে যাবে। গাজীপুর সীমান্ত– গাজীপুর ইউপি গেট থেকে ট্রাক্টর মিছিল অপ্সরা সীমান্ত গাজিয়াবাদ হয়ে ডাসনা ইউপিতে চলে যাবে।
দিল্লী পুলিশের কথা অনুসারে, বর্তমানে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার ট্রাক্টর টিকরী সীমান্তে , ১ হাজার ট্রাক্টর গাজীপুরে এবং সিংঘুতে ৫ হাজার ট্রাক্টর এসে পৌঁছেছে এবং এই সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। দিল্লির অভ্যন্তরে, এই ট্র্যাক্টর মিছিলটি ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি হবে।
পুলিশ জানায়, ট্র্যাক্টর মিছিলটি টিকরী সীমান্ত থেকে ৬৩ থেকে ৬৪ কিমি, সিংঘু সীমান্ত থেকে ৬২ থেকে ৬৩ কিমি এবং গাজীপুর থেকে ৪৬ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। পুলিশ বলছে, প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের পরে ট্র্যাক্টর মিছিলটি শুরু হবে। যা শর্ত ও বিধি অনুসরণ করে পেশাদার পদ্ধতিতে করতে হবে। এছাড়াও, এই মিছিলটি যেখান থেকে শুরু হবে সেখানেই এটি শেষ করতে হবে।
একই সঙ্গে, দিল্লি পুলিশের কথানুযায়ী, এই ট্রাক্টর মিছিলের উপর কুনজর গেড়ে বসে আছে সীমান্তের পাকিস্তানি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলি। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, তারা গোয়েন্দা মারফত খবর পেয়েছে যে, সীমান্তে পাক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলি এই ট্র্যাক্টর সমাবেশে গোলযোগ সৃষ্টি করতে পারে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা সম্প্রতি কৃষকদের এই ট্র্যাক্টর সমাবেশে ঝামেলা সৃষ্টি করার জন্য তৈরি করা হয়েছে এমন ৩০৮ টি ট্যুইটার হ্যান্ডেল সম্পর্কে জানতে পেরেছে।