নিউজ ডেস্ক: সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে গরম চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে প্রাণটা যেন জুড়িয়ে যায়। আর তাছাড়া সারাদিনের ক্লান্তি বলুন বা বন্ধুদের সাথে আড্ডা বা কোনও সিরিয়াস ডিসকাশনে চা যেন আমাদের চাই-ই চাই। আর চা প্রেমীদের তো নিতান্তই সুযোগ চাই চা পানের। তবে এইবার সেই চা-ই যেন তাদের কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে উঠছে। কিন্তু কেন? চা হঠাৎ বিরক্তির কারণ কেন হতে যাবে?
আসলে নেট দুনিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও, যা চা বানানোকে কেন্দ্র করে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে, দুধ-চাপাতা-চিনি সহযোগে চা টগবগ করে ফুটছে। তারই মধ্যে চাক চাক করে কেটে দেওয়া হচ্ছে মাখন। একটুখানি নয়, বেশ অনেকটাই মাখন এভাবে কেটে দেওয়া হয় ফুটন্ত ঐ চায়ের মধ্যে। এই ভিডিওটি আগ্রার একটি চায়ের দোকানের। ইনস্টাগ্রামের ফুডিআগ্রার পেজে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়।
আর মাখন চায়ের এই ভিডিওটি ভাইরাল হলেও, তা মোটেও চা-প্রেমীদের মন জয় করতে পারেনি। চায়ে এভাবে মাখন দেওয়াকে মোটেও পছন্দ করেননি নেটাগরিকেরা।
আসলে চা যে মাখন দিয়ে পান করা হয়, তা কিন্তু নয়, এভাবে চায়ে মাখন দিয়ে পান করার চল রয়েছে কাশ্মীরে। কারণ কাশ্মীরের ঠাণ্ডায় এইভাবে তৈরি চা বেশ পছন্দ করেন সেখানকার বাসিন্দারা। শুধু স্থানীয়রাই নন, পর্যটকরাও এই চায়ের স্বাদ নেন সেখানে ঘুরতে গিয়ে। আর কেবল স্বাদের জন্যই নয়, এইভাবে চায়ে মাখন দিয়ে পানের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল, এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া প্রচণ্ড শীতে ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে মাখন-চা। যদিও অল্প একটু মাখন হলেও হয়।
আর আগ্রার চায়ে যে পরিমাণে মাখন দেওয়া হচ্ছে, তাতে অনেকেই চায়ের স্বাদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তার ওপর এই মাখন চা কাশ্মীরের ঠান্ডায় সকলের পছন্দের হলেও, আগ্রার ঘটনাটি কিন্তু একেবারেই নজিরবিহীন।