নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জঙ্গল অধ্যুষিত শালবনী ব্লকের দুটি এলাকায় গত তিনদিনে দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে কম্বল ও শীত বস্ত্র বিতরণ করল হেল্পিং হ্যান্ড ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি তারই সাথে সাথে নেশার বিরুদ্ধে সচেতনতা মূলক প্রচার কর্মসূচিও পালন করলেন সদস্যরা। বুধবার শালবনীর গোদাপিয়াশালের ভূঁইয়া পাড়ায় আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ৫০ জন দুঃস্থ ও শীতার্তদের কম্বল বিতরণ করা হয়। সেই সঙ্গে এলাকায় নেশা মুক্তির বিষয়ে সচেতনতামূলক একটি কার্যক্রম পরিচালনা করেন হেল্পিং হ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্য ও সদস্যাগণ।
এর আগে ১০ই জানুয়ারিও এই সংস্থার পক্ষ থেকেই শালবনী ব্লকেরই ভাদুতলা অঞ্চলের সাওড়া গ্ৰামে আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকা দরিদ্র মানুষদের কম্বল ও পোশাক বিতরণ কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন সংস্থার পক্ষ থেকে কার্যকরী সভাপতি রাজশ্রী মন্ডল। সেবার ৫০ জন বৃদ্ধ বৃদ্ধার হাতে কম্বল ও শিশুদের জন্য পোশাক তুলে দিয়েছিলেন হেল্পিং হ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্য সদস্যাগণ।
বুধবারও প্রায় ৫০জনের হাতে শীত সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় মানুষরাও এই উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।বুধবার কর্মসূচি শুরুর আগে সংস্থার পক্ষ থেকে গৌতম কুমার ভকত সামান্য বক্তব্যের মাধ্যমে হেল্পিং হ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটির কার্যাবলী সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেন। এরপর সংস্থার সভাপতি দিলীপ মান্না ও সহ-সভাপতি নীলাদ্রি শঙ্কর ব্যানার্জী বক্তব্য রাখেন ও সকলের সাথে আলাপ পরিচয় করেন।
সংস্থার সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী সুব্রত মহাপাত্র চোলাই মদের কুফল এবং এর ফলে সাংসারিক জীবনে অশান্তি ও আর্থিক ক্ষতির বিষয়ে উপস্থিত সকলকে সচেতন করেন। বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী রত্না দে ও শিক্ষক ও পরিবেশ কর্মী মণিকাঞ্চন রায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কার্যকরী সভাপতি রাজশ্রী মন্ডল, সুদীপ্তা দে, পারমিতা গিরি, মৌসুমী মান্না, রূপা মহাপাত্র, নরোত্তম দে, নরসিংহ দাস, সঞ্জয় কুমার মান্না, পিন্টু সাউ, সোড়শী সিংহ প্রমুখ। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী দিনেও এধরনের কল্যাণ মূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।