সংবাদদাতা: জলপাইগুড়ির মাল এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া এক বিশাল বড় কিং কোবরাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মেটেলী ব্লকের বড়দিঘী চা বাগানে।সোমবার সকালে ওই বাগানের ধোবী লাইনের শ্রমিক বস্তীতে অশোক চালিতা মাড়িয়া নামে এক বাগান শ্রমিকের বাড়ীতে এই ১৪ ফুট লম্বা কিং কোবরা দেখা পাওয়া গেলে আতঙ্ক ছড়ায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বাড়ীর লোকেরা ভয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। আশে,পাশের এলাকায়ও আতঙ্ক দেখা দেয়।খবর দেওয়া হয় বন্যপ্রানী দপ্তরে।খুনিয়া,রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন।খবর দেওয়া হয় সৈয়দ নইম বাবুনকে। তিনি এসে দুই ঘন্টার চেষ্টায় সাপটিকে পাকড়াও করেন।পরে গরুমারা জঙলে সাপটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বনদপ্তরের অধিকারিকরা জানিয়েছেন হিমালয় সংলগ্ন আদ্র এবং হিমেল আবহাওয়া কিং কোবরার আদর্শ ও সহজ বিচরন ভূমি হল উত্তর বাংলার ডুয়ার্স অঞ্চল যা ব্যতীত বাংলার আর কোনও অঞ্চলেই কিং কোবরার দেখা মেলেনা। একদিকে ডুয়ার্সয়ের নানা স্তরীয় ও বৈচিত্রে ভরা বনানী , পাহাড়ি ঝোর বা ঝরনা ওই এলাকাকে আদ্র ও শীতার্ত রাখে বলেই এই এলাকায় কিং কোবরা সহজে বিচরন করে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কিং কোবরা সম্পর্কিত আরও তথ্য দিতে গিয়ে শিলিগুড়ির উদ্যান বিষয়ক ডিভিসনাল ফরেস্ট অফিসার অঞ্জন গুহ ‘দ্য খড়গপুর পোষ্ট’ কে জানান, ‘কিং কোবরার অন্যতম বৈশিষ্ট হল এই সাপ বাসা বানায় এবং ডুয়ার্সয়ের বৈচিত্রে ভরা জঙ্গলের ঝরা পাতা সেই বাসা বানানোর সহায়াক ভূমি।”
এই সেই উদ্ধার হওয়া কিং কোবরা |
গুহ আরও জানিয়েছেন ডুয়ার্সয়ের প্রকৃতির মতই কিং কোবরার খাদ্যের নিরন্তর জোগানদার এর বনানী। বন্য মুরগি , বিভিন্ন পাখি, খরগোশ , বন্য শুয়োর ও হরিনের বাচ্চা ও বিভিন্ন প্রজাতির সাপ কিং কোবরার খুব প্রিয় এবং তা সহজেই এখানে মেলে। আর এই দুই প্রাকৃতিক কারনেই গরুমারা , জলদাপাড়া , চাপড়ামারি , বকসার প্রভৃতি অরণ্যে এই সাপ দেখতে পাওয়া যায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অঞ্জনবাবু বলেন, ‘কিংকোবরা কাউকে কামড়ালে এক সাথে ৬ থেকে ৭ মিলিগ্রাম বিষ ঢালতে পারে যার আধঘন্টার মধ্যে এন্টিভেনম না পড়লে রোগীকে বাঁচানো মুশকিল এবং একমাত্র কিংকোবরার কামড়ে একই সাথে রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা স্নায়ু দুটোই আক্রান্ত হয় যা কিনা সাধারন ভাবে আলাদা আলাদা ভাবে কেউটে জাতীয় ও বড়া জাতীয় সাপের কামড়ে হয়ে থাকে।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শীত পড়ার মুখে সাপেরা সাধারনভাবে মাটির তলায় চলে যায় যাকে শীতঘুম বলা হয় । সেই কারনেই এই সাপটি চাবাগানের জায়গার সন্ধানে এসেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।