নিজস্ব সংবাদদাতা : ভাগ্যে হাসপাতালের ডাল জলের চেয়েও পাতলা ! না হলে কি হত কে জানে ? পুর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে রোগী প্রতাপ মাইতি মনে মনে ধন্যবাদ দিচ্ছেন খাওয়ার সরবরাহকারী ঠিকাদারকে। গাঢ় ডাল হলে হয়ত ভাতের সঙ্গে মেখে এতক্ষনে কয়েকগ্রাস পেটেই চালান হয়ে যেত ! ঘটনা নজরে আসতেই তড়িঘড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই খাওয়ার কে ফেলে দিয়ে নতুন করে খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে রোগীদের মেনুতে ছিল ভাত , সবজি,ডাল ও মাছ। ডায়রিয়া সংক্রামক রোগীদের এই খাবার দেওয়া হয়। সংক্রামক ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন মোট পাঁচজন। তাদেরই মধ্যে তমলুকের স্টেশন রোডের বাসিন্দা প্রতাপ মাইতি খাওয়ার আগে ডালে মরা টিকটিকি দেখতে পান। তিনি গত সোমবার পেটের অসুখ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
খাবারে টিকটিকি দেখে তিনিও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যদিও ততক্ষণে সেই ডাল দিয়ে ওই বিভাগের খাওয়া সম্পন্ন করেছেন বাকি তিন জন রোগী। রোগীদের দেওয়া খাওয়ারে মরা টিকটিকি সেদ্ধ হয়েছে খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা হাসপাতাল জুড়ে। এরপরই পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতালে সুপারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। ঘটনা নজরে আসতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডালের নমুনা সংগ্রহ করে পুরো ডাল টিকে ফেলে দিয়ে নতুন করে রান্নার ব্যবস্থা করেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
গত মাসেই পরিবহন ও জলসম্পদ মন্ত্রী, তমলুক জেলা হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের দেওয়া খাবারের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন খাওয়ারের মানের উন্নতি ঘটাতে। আর তারপরেই এদিন ফের রোগীর খাওয়ারে টিকটিকি পাওয়া যায় জেলা হাসপাতালে রোগীদের দেওয়া খাওয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জেলা হাসপাতালের সুপার গোপাল দাস জানিয়েছেন, কোন কারণে দুর্ঘটনাবশত ডালের মধ্যে টিকটিকি পড়ে গিয়েছিল। রোগীর পরিবারের তরফ থেকে জানতে পেরে আমরা তৎপরতার সাথে সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরো ডালটি কেই বাতিল করেছি। সেই সঙ্গে ডালের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যারা ইতিমধ্যেই খাবার খেয়ে ফেলেছিলেন তাঁদের বিশেষভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।